স্পোর্টস ডেস্ক:
মিডল অর্ডার থেকে একটুখানি সমর্থন পেলে গল্পটা ভিন্নও হতে পারতো। বাংলাদেশ শেষ বলে ভারতের কাছে হেরে গেল।আরো একবার শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে ফেলা, আরো একবার ভারতের কাছে হার। অ্যাডিলেড ওভালে আজ বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে টাইগারদের হার ৫ রানে। লিটন দাসের ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংসটা কারো আফসোস বাড়ালো, কারো কাছে শুধুই সান্ত্বনা হয়ে থাকলো।
অবশ্য ব্যাটিংয়েও স্বপ্নের মতো সূচনা পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ফিরেই স্বরূপে লিটন দাস। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে পাওয়ায় প্লেতেই যোগ করেন ৬০ রান। শান্তর ব্যাটে যদিও সাবধানী শুরু, তবে আগ্রাসী ব্যাটিং প্রদর্শনী লিটন দাসের। পাওয়ার প্লেতে দলের মোট রানের ৯৪ শতাংশ এসেছে তার ব্যাটে। ২১ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে যা দ্বিতীয় দ্রুততম।
তবে সপ্তম ওভার শেষেই বৃষ্টির হানা। দলীয় রান তখন ৬৬/০। ফলে বাংলাদেশের সমর্থকরা বৃষ্টি না থামার প্রার্থনায় রত। কেননা, আর বল না গড়ালে ১৭ রানে জয়ী ঘোষণা করা হতো বাংলাদেশকে। তবে ফের মাঠে নামতেই হয় বাংলাদেশকে। প্রায় ঘণ্টাখানেক খেলা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে নতুন লক্ষ্য দেয়া হয় ১৬ ওভারে ১৫১।
বৃষ্টির আগে ৭ ওভারে ৬৬ রান সংগ্রহ করায় শেষ ৯ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৮৫ রান, হাতে ১০ উইকেট। তবে মাঠে নেমেই লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম বলেই রান নিতে গিয়ে চোট পান লিটন, সেই চোটের ফলেই পরের বলে রান আউটের শিকার হন এই ওপেনার। আউট হবার আগে খেলেন ৭ চার আর ৩ ছক্কায় ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস।
বলের সাথে রানের ব্যবধান কমাতে গিয়ে আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেন ২৫ বলে ২১ রানে মোহাম্মদ শামির শিকার হয়ে। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ৫২ রান। তবে এইদিন দাঁড়াতে পারেননি আফিফ হোসেন, আর্শদ্বীপের শিকার হয়ে ফিরেছেন ৫ বলে ৩ রান। ১২ বলে ১৩ করে একই ওভারে ফিরেন সাকিব আল হাসানও৷ পরের ওভারে ইয়াসির রাব্বিকেও হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে অ্যাডিলেড ওভালে আজ টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভারতীয় কাপ্তান রোহিত শর্মাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সাকিব। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৮৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। বিরাট কোহলি খেলেন হার না মানা ৪৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস।
তৃতীয় ওভারেই তাসকিনের বলে জীবন পান রোহিত শর্মা। তবে জীবন পাওয়াটা উপভোগ করতে পারেননি তিনি, জীবন দাতা হাসান মাহমুদই নিভিয়েছেন তার জীবন প্রদীপ। রোহিত ফিরেছেন ৮ বলে মাত্র ২ রানে। লোকেশ রাহুল ব্যাট চালালেও পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভারতকে। পরের ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রা চেপে ধরা তাসকিনের ওভার শেষ হলে ধীরে ধীরে স্বরূপে ফিরে আসে ভারত।
এদিন দাঁড়াতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। ৬ বলে ৫ রানে হাসান মাহমুদের দ্বিতীয় শিকার তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে তখনো দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি। ১৭ ওভারেই ১৫০ রানের মাইলফলক পেরিয়ে যায় ভারত। মাঝে রান আউটের শিকার হন দীনেশ কার্তিক। ১৯ তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলকে নিজের তৃতীয় উইকেটের দেখা পেলেও ৪৭ রান দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। আরেক পেসার শরিফুল ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৭ রান।
সময় জার্নাল/এলআর