নিজস্ব প্রতিনিধি:
ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল খুনের ঘটনায় সিলেট নগরীতে বিক্ষোভ, লাঠি মিছিল ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপি। রোববার (৬ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাতেই নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাতের মধ্যে ভাঙচুরকারীদের গ্রেফতার করা না হলে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রতিহত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আ ফ ম কামাল খুন হয়েছেন। বিএনপি নিজেদের এ সমস্যাকে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে নগরের আম্বরখানা বড় বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সিলেট ল’ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আ ফ ম কামাল।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নগরের ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় বিক্ষোভ করে বিএনপি ও ছাত্রদল। একই সময়ে নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় সড়কে লাঠিসোটা নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন।
এছাড়া মিছিল থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত তোরণ ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আজ রাতের মধ্যে এ সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হলে ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রতিহত করা হবে।
এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা তপন মিত্রসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সিলেট নগরে যেন কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সেজন্য নগরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা কামাল হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাতেই ইশতিয়াক আহমদ রাজু নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ছাত্রদল নেতা ইশতিয়াক আহমদ রাজুকে থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সময় জার্নাল/এলআর