আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত মধ্যবর্তী নির্বাচন। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, ইদাহো, নেভাদার মতো রাজ্যগুলোতে পোলিং বুথ খুলে দেওয়া হয়েছে ভোটারদের জন্য। খবর বিবিসির।
এই নির্বাচনের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। দুই অংশে বিভক্ত নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির। সেটি হলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রভাব ও ক্ষমতা অনেকটাই সীমিত হয়ে আসবে।
এই নির্বাচনে ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই সরাসরি লড়ছেন না। লড়ছে তাদের দল। নির্বাচন হবে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটের নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য।
প্রাথমিক জরিপ বলছে, নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের দুটি চেম্বারেই জয় পেতে পারে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি। নিরপেক্ষ পূর্বাভাসদাতারা বলছেন, নির্বাচনে ৪৩৫ আসনের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানদের প্রায় ২৫টি আসন বাড়তে পারে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট। তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রয়োজনীয় একটি আসনও জিতে নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে দু’জন সিনেটর থাকেন, যারা ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রিপ্রেজেন্টেটিভরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য এবং ছোট জেলাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন।
বিগত দুই বছর ধরে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে ডেমোক্রেটরা। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য যে কোনো আইন পাস করা সহজ হয়েছে। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে সেই সুযোগ আর থাকবে না ডেমোক্র্যাটদের। ফলে বাইডেন অনেকটা ‘নখদন্তহীন বাঘ’-এ পরিণত হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এছাড়া, এই ফলাফল ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারণার ক্ষেত্রকে নানাভাবে প্রভাবিত করবে। বিশেষ করে, সেখানে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়।
সময় জার্নাল/এলআর