মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আইএমএফের ঋণ নিয়েও রাজনীতি করছে: কাদের

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১০, ২০২২
আইএমএফের ঋণ নিয়েও রাজনীতি করছে: কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

আইএমএফের ঋণ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবান্তর মন্তব্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন তুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব এমন তলানিতে ঠেকেছে যে, তারা এখন আইএমএফের ঋণ নিয়েও রাজনীতি করছে। কিছুদিন আগে আইএমএফ যাতে ঋণ না দেয় সে জন্য তারা ষড়যন্ত্র করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছে। আবার আইএমএফ যখন ঋণ দিচ্ছে তখন তারা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।

শুকবার (১১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী এক চরম অর্থনৈতিক অস্থিতরতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট প্রতীয়মাণ হচ্ছে তা একটি বৈশ্বিক সংকট। এই সংকটের অভিঘাতে জর্জরিত হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতিও। এই সংকট মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে।

ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের গাত্রদাহের কারণ হলো- আইএমএফ বাংলাদেশকে কেন ঋণ দিচ্ছে? মির্জা ফখরুল কি ভুলে গেছেন- বিএনপির সময় জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিতই হতো বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণের ওপর ভিত্তি করে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি গড়ে জাতীয় আয়ের ২৮ শতাংশ ঋণ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে; তাদের সময় রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম; তাদের সর্বশেষ বাজেট ছিল মাত্র ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও বৈদেশিক ঋণের নির্ভরতা বহুলাংশে কমেছে। রিজার্ভ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ ছুঁয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান বাজেট বিএনপির সর্বশেষ বাজেটের তুলনায় প্রায় দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ বিএনপি নেতৃবৃন্দ আজ নির্লজ্জের মতো আইএমএফের ঋণ নিয়ে কথা বলেন! রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন! প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই সংকটকে পুঁজি করে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সংকটে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সচেতন ও উদ্যোগী হলেই তা মোকাবিলা সহজ হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এই সংকট মোকাবিলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। এডিবি সুস্পষ্টভাবে বলেছে, ‘শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য আছে বলেই আইএমএফ ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে আরও একবার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। অথচ বিএনপির সময় অর্থনৈতিক সক্ষমতা বলতে কিছুই ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরনির্ভরতার সেই সংকট থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ ঘটেছে; আইএমএফের এই ঋণ জনগণের জন্য বোঝা না হয়ে সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হবে।

তিনি বলেন, চলমান বৈশ্বিক সংকটের ভয়াবহ অভিঘাত থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্বশীল আচরণ এবং কর্তব্যপরায়ণতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেখানে বিএনপি এই সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তারা সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। দেশবিরোধী এবং দেশের মানুষের স্বার্থপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত বিএনপির এই হীনঅপতৎপরতা রুখে দিতে সকলকে সচেতন হতে হবে। আসুন অনাকাঙ্ক্ষিত এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। বঙ্গবন্ধুকন্যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সক্রিয় অবদান নিশ্চিত করি।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল