মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় বনবিভাগের পৃথক অভিযানে ৭০ কেজি হরিণের মাংসসহ এক হরিণ শিকারীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ভোর রাত ১টার দিকে সুন্দরবনের সাবখালীর খালে নৌকা থেকে ৫০কেজি ও মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতী›ন্দ্রনগর এলাকার সুন্দরবন বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উপর থেকে থেকে ২০ কেজি হরিণের মাংস সহ এক চোরা শিকারীকে আটক করা হয়।
আটক হরিণ শিকারীর নাম মোঃ আবুল হোসেন (৩৮)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ছোটভেটখালী গ্রামের মোঃ কেরামত আলী গাজীর ছেলে বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, আবুল হোসেন স্থানীয় যতীন্দ্রনগরের হরিণ শিকারী ইউনুস গাজীর কাছ থেকে একটি জবাইকৃত হরিণের ২০ কেজি মাংস ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছিল।
পতিমধ্যে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা ধাওয়া করে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতী›ন্দ্রনগর এলাকার সুন্দরবন বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উপর থেকে ২০ কেজি হরিণের মাংসসহ তাকে আটক করে বনবিভাগকে খবর দেয়। পরে বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মিরাগাং টহল ফাঁড়ির ওসি সায়াদ আল জামি’র নেতৃত্বে বনকর্মীরা এসে হরিণের মাংশ সহ আবুল হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায়। এসময় হরিণের মাংস বহন কাজে ব্যবহৃত একটি হিরোহোন্ডা মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়
আটক শিকারীকে বন আইনে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জব্দকৃত হরিণের মাংস মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়েছে বলে জানান এসিএফ।
এদিকে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সম্প্রতি সুন্দরবনে হরিণ শিকারী চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বনবিভাগের সদস্যদেও চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাই ভাবে বনের মধ্যে ঢুকে হরিণ শিকার করে নিয়ে আসছে লোকালয়ে। মাঝে মধ্যে দুই একটি চালান আটক হলেও অধিকাংশ থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে ২০ কেজি হরিণের মাংসসহ আদম আলী নামে এক হরিণ শিকারীকে আটক করে বুড়িগোয়ালিনী বন অফিসের সদস্যরা। এক সপ্তাহ পার না হতেই ফের ৭০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করলো বিন বিভাগের সদস্যরা। তারা সুন্দরবনে বন বিভাগের টহল আরো জোরদার করার আহ্বান জানান।
সময় জার্নাল/এলআর