সময় জার্নাল ডেস্ক:
কমলা শুনলেই মনে হয় বিদেশি ফল। আমদানি করে দেশের বাজারের চাহিদা পূরণ করা হয়। কিছুদিন আগেও বাজারে যে কমলা পাওয়া যেত তার প্রায় সবই বিদেশি। এখন দেশেই চাষ হচ্ছে কমলা। স্বাদ ও মানের দিক থেকে বিদেশি কমলার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। দিন দিন কমলা চাষে বাড়ছে আগ্রহ। ফলন ভালো কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো।
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক আশুতোষ বিশ্বাস। তিনি ৩৩ শতক জমিতে ৬৫টি চায়না কমলা লেবুর চারা রোপণ করেন। চারাগুলো আড়াই বছর ধরে পরিচর্যার ফলে তার বাগানে প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে। ইতোমধ্যে গাছে কমলা পাকতে শুরু করেছে। বাগান ঘুরে দেখা যায়, আড়াই বছর ধরে গাছ গুলো পরিচর্যার ফলে গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভাল।
কমলার বাগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২০ সালে চুয়াডাঙ্গার জীবনগরের এক ব্যাক্তি এই চায়না কমলা চাষ করেছেন। পরবর্তীতে জীবনগর গিয়ে ৬৫টি কমলা চারা ক্রয় করে নিয়ে এসেছেন। যার মধ্যে তিনটি চারা মারা যায়। তবে প্রতিদিন কমলাবাগান দেখতে দুর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে। তিনি কমলার বাগান বড় করতে ৩ হাজার কমলা লেবুর চারা তৈরি করেছেন।
কলেজ শিক্ষক আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, অনেকটা সখ করে ফলের বাগান তৈরি করা। কলেজের শিক্ষকতার পাশাপাশি যেটুকু সময় পাই এই ফলের বাগানে এসে সময় দেই। বর্তমানে আমার বাগানে গাছের সংখ্যা রয়েছে ৬৩টি। কমলালেবুর বাজার মূল্য ভালো রয়েছে। এক কেজি চায়না কমলা লেবুর দাম পাইকারি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। এরআগে ৩০ মন কমলা বাজারে বিক্রি করেছি। দামও ভালো পেয়েছি। বাগানে আর কমলা রয়েছে। বাজার মূল্য ভালো পেলে সাড়ে তিন লাখ টাকার কমলা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
মধুপুর গ্রামের কৃষক অসীম কুমার বলেন, আমার জমির পাশে গড়ে উঠেছে চায়না কমলালেবুর বাগান। ফল ধরেছে প্রচুর পরিমাণে। এখানে এলাকার অনেক বেকার যুবক আসছে বাগান দেখতে। আগামীতে তারা এখানে থেকে চারা নিয়ে চায়না কমলা লেবুর বাগান তৈরি করবে। আমি আগামী বছর ১০ শত জমিতে চারা রোপণ করব।
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলা মধুপুর ব্লগের কৃষি উপ-সহকারী অলোক বিশ্বাস বলেন, কমলার চারা লাগানোর প্রথম থেকেই বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামীতেও সব ধরণের সহযোগিতা করে যাব। তা ছাড়া অন্যরাও যদি এই কমলা চাষ করতে চায় তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করবো। যেহেতু কমলা চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়। সে কারণে কৃষকরা এ দিকে এগিয়ে এলে তারা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে।
সময় জার্নাল/এলআর