শিরোনাম
মাহফুজ অর্ণব :
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। মনের ভাব আদান-প্রদান কিংবা অফিসিয়াল কাজেও আজকাল আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ হচ্ছি প্রতিনিয়ত। এক্ষেত্রে অডিও, ভিডিও কিংবা লেখার মাধ্যমকেই বেছে নিতে হচ্ছে। উল্লেখিত তিনটি মাধ্যমের মধ্যে তুলনামূলক বেশি প্রয়োগ হয়ে থাকে লেখার মাধ্যমটি। লেখার মাধ্যমে আমরা অতি সহজে অনেকের সাথে কমিউনিকেট করতে পারি। যেটা অডিও কিংবা ভিডিও মাধ্যমে তুলনামূলক কম হয়। কারণ আমাদের লেখার শক্তিটা দীর্ঘদিনের।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির বাজারে আমরা
সবাই সময়ের সাথে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাচ্ছি নিজেদের সর্বোচ্চ সুবিধাটুকু নিশ্চিত
করার লক্ষ্যে। তাই কোয়ালিটি অব টাইম মেন্টেইন করার জন্য আমরা হয়ে উঠেছি তথ্যপ্রযুক্তি
নির্ভর। যেকোনো বিষয়ে কাউকে জানান দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিনিয়তই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান
ধরণের বার্তা প্রেরণ করে থাকি। কোনোটি পোস্টের মাধ্যমে, কোনোটি অনলাইন আর্টিকেলের মাধ্যমে
আবার অনেক ক্ষেত্রে ইনবক্সে। সে যেখানেই হোক, বার্তা প্রেরণের মাধ্যম যদি হয় লেখা/লেখন
পদ্ধতিতে তাহলে যেসকল বিষয়গুলো আমাদের লেখা বার্তাকে করে তুলতে পারে তুলনামূলক আকর্ষণীয়,
নিচে তেমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি।
★টাইটেল/শিরোনাম
লেখা শুরুর আগে একটা টাইটেল থাকলে
পাঠক বুঝতে পারবে এটা কী বিষয়ক এবং আলোচ্য বিষয়টি তার প্রয়োজনীয় কি না। এমনও হয় অনেক
সময় হাজারো রিএক্ট এবং কমেন্ট দেখে অনেকেই কৌতুহলেরও পোস্ট পড়ে থাকে। কিন্তু পড়ার পরে
অপ্রয়োজনীয় স্থানে সময় ব্যয় হলো এমন উপলব্ধি হয়। তাই এই একবিংশ শতাব্দির যান্ত্রিকতার
সময়টুকুকে আরও কোয়ালিটিফুল করে তোলার জন্য এই প্যাটার্নটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টিং
ট্রেন্ড/স্টাইল হতে পারে।
★দাড়ি-কমা/বিরাম
চিহ্নের ব্যবহার
লেখার সময় দাড়ি কমার অর্থাৎ বিরাম
চিহ্নের পর্যাপ্ত না হলেও সর্ব নিম্ন ব্যবহার নিশ্চিত করা। অনেক সময় দেখা যায় আমরা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট লিখতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে কিংবা লেখায় অতিমাত্রায় মনোনিবেশ
করার কারণে বিরাম চিহ্নের দিকে মনোযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে পাঠককে পড়ার ক্ষেত্রে একটু
বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। প্রয়োজনে গুরুত্ব বুঝার জন্য লেখাটা একাধিকবার
পড়তে হয়। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনি কোনোকিছু লেখার আগে এই বিষয়ে কিঞ্চিত নজর
দিলে আপনার লেখাটা হয়ে উঠতে পারে আরও বেশি পাঠকপ্রিয়।
★মূল বিষয় হাইলাট
করা
অনেক সময় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল
কিংবা পোস্টে দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিটেইল করতে গিয়ে না চাইতেও পোস্টের আকৃতি অপেক্ষাকৃত
বড় হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে একসাথে অনেক লেখার ভিড়ে মূল টপিকটা খুঁজে পেতেই পাঠকের অনেক
সময় ব্যাগ পেতে হয়। তাই পোস্ট লেখার সময় আপনার লেখার মূল বিষয়টাকে হাইলাইট করার জন্য
প্রয়োজনে আলাদা একটা প্যারা করে মূল বিষয়টাকে তুলে আনুন কিংবা লেখার মধ্যে ইনভার্টেরট
কমা (“ ”), অথবা প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় বন্ধনী [{()}] দিয়ে আবৃত্ত করে দেওয়া যেতে পারে।
সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সহজের পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
★প্যারা/অনুচ্ছেদ
আকারে লেখা
আপনার লেখা কোনো আর্টিকেল কিংবা পোস্টটি
যদি আকৃতিতে বড় হয়ে যায় তাহলে লেখাটিকে এক প্যারায় গাদাগাদি না করে আলাদা আলাদা প্যারায়
ভাগ করে পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে লিখুন, যাতে পাঠক মনোযোগ সহকারে আপনার পরিচ্ছন্ন লেখাটি
পড়তে পারে। অনেক সময় আমরা পোস্টের ডিটেইল করতে গিয়ে একসাথে অসংখ্য লেখা গাদাগাদি করে
লিখে ফেলি। ফলে পাঠক পড়ার সময় মনোযোগ বিনষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে লেখা পড়তে পড়তে পাঠক
হারিয়ে ফেলে কোন লাইন পড়ছিলো। তাই যদি প্যারা কিংবা অনুচ্ছেদ করে লেখাটিকে মার্জন করা
হয়, পাঠক সেই লেখাটি পড়ার ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি মনোযোগী হবে।
★বানান বিষয়ে সচেতনতা
মানুষ মাত্রই ভুল হবে। ভুলের উর্ধে
কেউ নয়। তবুও আমাদের সকলেরই দায়িত্ব যতটুকু সম্ভব ভুল সংশোধন করে লেখা। বলবোনা একটা
লেখা কিংবা পোস্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে বানান বিশারদ হতে হবে। তবে কমন কিংবা প্রচলিত
বানানগুলো অন্তত একটু খেয়ার রেখে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। যাতে পাঠক অর্থ বিভ্রাটে
না পরেন। যেমন: “যায়” লেখতে গিয়ে অনেকেই ভুল বশত “যাই” লিখে ফেলেন। ফলে অর্থ বিভ্রাট
হয়। আমার পাঠ করা বুঝাতে “পড়ে” কিংবা “পড়া” লিখতে অনেকে “পরে”, “পরা” লিখে ফেলেন। আবার
“ছাত্র” লিখতে “ছাএ” কিংবা “নেত্রকোণা” লিখতে “নেএকোনা”, কিংবা অনেকের প্রিয় সংগঠন
“ছাত্রলীগ” লিখতে গিয়েও “ছাএলিগ” লিখেন। যেটা খুবই বিব্রতকর। তাই বানানের ক্ষেত্রে
নূন্যতম সচেতনতা অবলম্বন করার চেষ্টা থাকলে লেখাটি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
★ক্রেডিট লাইন/ক্রেডিট/সত্য
আরও লেখা হুবহু কপি করে নিলে মূল লেখকের
নামটি অন্তত উল্লেখ করা কিংবা যদি কোথাও অল্প কিছু লাইনও ব্যবহার করা হয় সেখানে তার
ক্রেডিট যুক্ত করে দেওয়া। যাতে করে মূল লেখক সম্পর্কে পাঠক অবহিত হতে পারেন। এতে আপনিও
পরিচ্ছন্ন থাকলেন। অনেক সনয় দেখা যায় আমরা কারো লেখা ভালো লাগবে সেটি কপি পেস্ট করে
পোস্ট করি। এতে অনেকেই লেখাটি পড়ে আপনার নিজের লেখা বা অনুভূতি বলে মনে করে থাকেন।
ক্রেডিট লাইন থাকলে সে ভুলটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
★লেখার জন্য ভাষা
নির্বাচন
বাংলায় লেখার ক্ষেত্রে বাংলা বর্ণে
লিখুন, ইংরেজির ক্ষেত্রে English font (ফন্ট)। যাতে পাঠক সহজে বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা
তৈরি করতে পারে। আমরা অনেকসময় বাংলা লিখতে ইংরেজি বর্ণ বা ফন্ট ব্যবহার করে থাকি। যা
অনেকেরই পড়তে সমস্যা হয়। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বার্তা হলে সেটি কষ্ট হলেও বার বার
পড়ে বুঝতে হয়। আবার অনেকে ইংরেজিতে লিখতে বাংলা বর্ণ ব্যবহার করে। কিন্তু সেক্ষেত্রে
English spelling টি যদি যথার্থ না হয় তাতেও বিভ্রান্তিতে পরতে হয়। তাই যে ভাষায় বার্তা
পাঠাচ্ছে বা লিখছেন সে ভাষাটিকেই গুরুত্ব দিন। তবে ক্ষেত্র বিশেষে কিংবা প্রচতিল শব্দের
ক্ষেত্রে এ বিষয়টি নিশ্চই শিথিলযোগ্য।
★Space (স্পেস)
ব্যবহারে সচেতনতা
অনেক সময় দেখা যায় লেখায় দাড়ি-কমা'র
প্রয়োগ করা হয় ঠিকই, কিন্তু দাড়ি কিংবা করার পরে একটি শূণ্যস্থান বা space (স্পেস)
দেওয়ার ব্যপারটা লক্ষ্য করা হয় না। সেটা জেনেশুনেও হতে পারে আবার এ সম্পর্কে না জানার
কারণেও হতে পারে। যার ফলে একটা সুন্দর লেখাও হিজিবিজি দেখা যায়। এমনকি সুন্দর লেখার
সৌন্দর্যটা অনেকটা লুপ্ত হয়ে যায় এই সাধারণ বিষয়টির জন্য।
★ভাষার মিশ্রণ
আমরা অনেক সময় লেখার ক্ষেত্রে বাংলিশ/ইংলিশ/বাংলা
একসাথে মিশিয়ে ফেলি। ফলে লেখায় ভাষা প্রয়োগে একটা জগাখিচুরি সৃষ্টি হয়। যা অনেকাংশেই
দৃষ্টিকটু লাগে। তাই লেখার ক্ষেত্রে ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে এমন জগাখিচুরি না পাকিয়ে যেকোনো
একটি ভাষায় লেখা শুরু থেকে শেষ করলে অনেকটাই মাধুর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
★ধারণা নিয়ে লেখা
সোশ্যাম মিডিয়ার যুগে আমরা প্রতিনিয়ত
নানান বিষয় নিয়ে আলোচনার উত্থান পতন দেখতে পাই। এমন চলতি ঘটনাবলির আলোকে অনেক সময় কোনো
বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে অর্থাৎ অস্পষ্ট ধারণা নিয়ে সময়ের সাথে গা ভাসাতে গিয়ে নিজের
মতো করে সেসকল ঘটনা সম্পর্কে লিখে ফেলি। ফলে যারা এই লেখাটি পড়েন, সেসকল পাঠকগণ বিভ্রান্ত
হন। তাই কোনো বিষয় নিয়ে লেখার আগে সে বিষয়টি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা নেওয়া উচিৎ। অর্থাৎ
কোনো বিষয় নিয়ে লেখার আগে বিষয়টি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা নেওয়া আবশ্যক।
★চৌর্যবৃত্তি পরিহার
করা
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোনো
সত্য গোপন করে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়
আমরা অন্যের লেখা আংশিক বা হুবহু নিজের বলে চালিয়ে দেই। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনো
বিষয় লেখার সময় এমন চৌর্যবৃত্তি না করে যথাসম্ভব নিজের মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে
নিজের মতো করে লেখার যে আনন্দ ও আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, তা বোধ করি আর কোনো কিছুতে নেই।
তাই লেখার সময় এমন চৌর্যবৃত্তি বা অন্যজনের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেওয়াকে পরিহার করা
আবশ্যক।
★নেতিবাচক শব্দ
পরিহার করা
কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লেখার সময়
আনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তাগিদে শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে তুলনামূলক নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার
হয়। কিন্তু চাইলে সে শব্দগুলো ইতিবাচক ভাবেও প্রকাশ করা যায়। কোনো বিষয়কে যখন নেতিবাচক
শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা হয় তখন সে বিষয়টির প্রতি আগ্রহ কমে যায়। আবার কোনো বিষয়কে যখন
নেতিবাচক শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সেটি অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণপযোগ্য হয়ে ওঠে।
তাই লেখার সময় ইতিবাচক শব্দের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে নেতিবাচক শব্দকে যথা সম্ভব পরিহার
করা উচিৎ। তবে একান্ত নেতিবাচক কোনো বিষয় এই পর্যায়ভুক্ত নয়।
★মূল বিষয় (Key
point) জন্য ভাষা (Language)
পোস্ট, ব্লগ কিংবা কোনো আর্টিকেল লেখার
আগে কোন ভাষায় লিখবেন সে বিষয়টি নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়। তাতে লেখার মূল পয়েন্টগুলো
গুছিয়ে লিখতে সুবিধা হয়। লেখার ক্ষেত্রে মূল বিষয় কিংবা কি-পয়েন্টগুলো যদি সাজানো থাকে
তাহলে খুব দ্রুত উপস্থাপন উপযোগী হয়ে ওঠে। তাই লেখা শুরু করার আগে ভাষা (Language)
নির্বাচন করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
★শব্দ/word নির্বাচন
আমরা অনেক সময় লেখায় নিজের মুনশিয়ানা
দেখানোর জন্য তুলনামূলক কঠিন শব্দের ব্যবহার করে থাকি। ফলে পাঠক অনেক ক্ষেত্রে লেখাটি
পড়ার আগ্রহ হারায়। এর একটি কারণ অর্থ বুঝতে না পারা বা দুর্বোধ্য শব্দ প্রয়োগ। আরেকটি
কারণ হতে পারে কঠিন ভাষা শৈলীর প্রয়োগের জন্য পাঠক সেরকম লেখার প্রতি আগ্রহ হারায়।
তাই কোনো বিষয়ে লেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শব্দ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
★ পোস্ট বা লেখা
ব্যাপ্তি
পোস্ট কিংবা ব্লগ যথা সম্ভব সংক্ষেপে
বুঝিয়ে লেখা। এই সময়ে মানুষ কোনো বিষয়ের প্রতি বেশিক্ষণ মনযোগ ধরে রাখতে চায় না। অল্প
সময়ের মধ্যে ধারণা আলোচ্য বিষয়ের ধারণা পেয়ে চায়। তাই অল্প কথায় প্রতিপাদ্য সংক্ষেপণের
দিকে গুরুত্ব থাকা আবশ্যক।
★Source (সোর্স)
বা তথ্যসূত্র
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় লেখার গুরুত্ব
বৃদ্ধির জন্য কিংবা পাঠককে আকৃষ্ট করার জন্য লেখার ভেতরে অনেকের উক্তি কিংবা
source ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেক সময় এমন তথ্যসূত্রের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দেখা
দেয়। যেমন- কেউ একটা প্রবন্ধের ভেতরে একটি কোটেশন ব্যবহার করেছেন। কিন্তু যার উক্তি
ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম ব্যবহার করা হয়নি, সে/তিনি মনগড়া আরেকজনের নাম বসিয়ে দিয়েছে।
এক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিয়ে পাঠককে বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়। সেজন্য লেখায় কোনো কোটেশন বা
তথ্যসূত্র ব্যবহারের সময় অবশ্যই সে সম্পর্কে সত্যতা যাতাই করা আবশ্যক।
★নিজের জন্য লেখা
লেখাটা পাঠনের জন্য না হয়ে নিয়ের জন্য
হোক। তাতে পাঠকের দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে যাচাই করার একটা সুযোগ তৈরি হয়। একজন ভালো
পাঠকই ভালো লেখক হয়ে উঠতে পারেন। নিজের কাছে যখন নিজের লেখা ভালো লাগবে তখনই সেটি পাঠকের
জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।
★বর্ণ বা শব্দের
যথার্থ প্রয়োগ
আমরা অনেক সময় লেখায় বাক্য গঠন কিংবা
বর্ণ প্রয়োগের ক্ষেত্রে খুটিনাটি ভুল করে থাকি। যেটা অনেক শব্দের ক্ষেত্রে অর্থের পরিবর্তন
করে ফেলে। এমন কী কখনোবা এই সামান্য কারণে বাক্যের ভাবকেও ভিন্ন দিকে নিয়ে যায়। অর্থাৎ
ভাবের ব্যঞ্জনা ঘটে। তাই লেখার সময় এইসকল সাধারণ ভুলগুলো শুধরে নিলে আলোচ্য লেখাটি
হয়ে উঠতে পারে অনন্য।
মাহফুজ অর্ণব
লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী
mahfuz.arnob@gmail.com