সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার শূন্যপদের জন্য চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এর আগে গত নভেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে নভেম্বর পেরিয়ে ডিসেম্বর এলেও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়ায় অনশনে বসেছেন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, গত ১০ নভেম্বর এনটিআরসিএ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সামনে ঘোষণা দিয়েছিল— নভেম্বরের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সেই কথার বাস্তবায়ন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় অনেক নিবন্ধনধারীর বয়স শেষ হয়ে গেছে। অনেকের বয়স শেষের পথে। এর জন্য এনটিআরসিএ দায়ী। এসময় তারা দ্রুত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানান। একইসঙ্গে দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
কর্মসূচিতে আসা এনায়েত উল্লাহ ত্বোহা বলেন, আমরা ৩০ নভেম্বর রাত ১২ টার আগ পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। হয়তো গণবিজ্ঞপ্তি দিবে। আমাদের সেই বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়। মাননীয় চেয়ারম্যান স্যার অতিদ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমাদেরকে বেকাত্বের অভিশাভ থেকে মুক্তি দিন।
মাজেদুল ইসলাম বলেন, ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী, সভাপতি ঢাকা বিভাগ। আমরা জানি প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষক ঘাটতি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো চলছে, এতে চরম হারে শিক্ষার অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। আদর্শ শিক্ষা ব্যবস্থা বিনির্মানে শিক্ষক ঘাটতি কমানোর জন্য দ্রুত ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিবন্ধিত শিক্ষকদের কাজ করার সুযোগ দিন।
যশোর থেকে আসা আব্দুল আলিম বলেন,আশা করি অতি দ্রুত ইনডেক্স বিহীন বেকার মান্ধব গনবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৭০ হাজার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে নামেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সেসময় নভেম্বরের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেয় এনটিআরসিএ। তবে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি সংস্থাটি। এর আগে একাধিকবার এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এবং সচিব দ্রুত সময়ের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা বললেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দাবি আদায়ে এবার আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এমআই