নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি মনে করেন সংঘাতের বিপরীতে শান্তির সোপান গড়ার ক্ষেত্রে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। শান্তি প্রতিষ্ঠা ছাড়া রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা অসম্ভব।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী-২০২২’। এ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি একমাসব্যাপী ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২’ আয়োজন করছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বের দীর্ঘকালব্যাপী চলমান প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে অন্যতম এই আয়োজনে ১১৩টি দেশের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি সকল শিল্পী, লেখক, কিউরেটর এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পেশাদার কর্মীদের আন্তরিক অভিবাদন ও ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, শিল্পের দিগন্ত ক্রমপ্রসারমান। গত এক দশকেরও বেশি সময় জুড়ে দ্বিবার্ষিক এশীয় প্রদর্শনী বৈশ্বিক মাত্রা পেয়েছে, এতে সারা বিশ্বের গুণী শিল্পীদের অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে এই প্রদর্শনী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শিল্পী এবং তাদের বৈচিত্র্যময় শিল্পভাষার সাথে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির টেকসই সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্র তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পৃথিবীর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ-বিবাদ-সংঘাত নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতির পিতার মহান আদর্শ এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্মিলনে বাংলাদেশ যুদ্ধের প্রতি সমর্থন পরিহার করে বিশ্বশান্তির প্রচার ও প্রসারে জাতিসংঘসহ নানা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত সংবিধানে স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম এবং শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে উল্লেখ করেছেন, যা হাজার বছরের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে একটি স্বতন্ত্র সত্তায় বিকশিত হয়েছে। তিনি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। জাতির পিতার সন্তান হিসেবে আমরা সকল ভাই-বোন শিল্প- সংস্কৃতির কোন না কোন শাখায় প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং চর্চা করার সুযোগ পেয়েছি।’ আমার ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালের শিল্প-প্রতিভা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি শিল্পকলার অঙ্গনে সৃষ্টিশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে এই প্রদর্শনীটি মাইলফলক অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী ২০২২’-এর সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।
সময় জার্নাল/এলআর