ক্রীড়া প্রতিবেদক:
সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। শেষ ওয়ানডেতে এসে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ঝাল মেটাচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। তাসকিন-মোস্তাফিজদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মেতেছেন ইশান কিশান আর বিরাট কোহলি।
১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর কিশান-কোহলি মিলে এরই মধ্যে গড়েছেন ২৮০ রানের জুটি। এর মধ্যে বেশি ভয়ংকর কিশান।
৮৫ বলে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটিকে রূপ দিয়েছেন ডাবলে, ১২৬ বলেই। যেটি কিনা ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৯৯ রান। কিশান ২০৪ আর কোহলি অপরাজিত আছেন ৮৫ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান মেহেদি হাসান মিরাজ। নিজের প্রথম বলে এলবিডব্লিউয়ে ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ শিখর ধাওয়ানকে (৩)।
মিরাজের ঘূর্ণি ডেলিভারিটি ডিফেন্ড করেছিলেন ধাওয়ান। বল প্যাডে লেগে গেলে আবেদন করেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা। কিন্তু আম্পায়ার সে আবেদনে সাড়া দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ এবং জিতে যায়।
নিজের পরের ওভারে আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন মিরাজ। এবার শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দেন লিটন। ১ রানে জীবন পান কোহলি।
এরপর বড় জুটি গড়ে তোলেন কিশান আর কোহলি। ইনিংসের ১৯ আর ২০তম ওভারে দুজনেরই আউটের সম্ভাবনা জেগেছিল। মোস্তাফিজের বলে কোহলি মিডঅফে ক্যাচ তুললে সেটি তালুবন্দী করেন লিটন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি তার হাতে পড়ার একটু আগে মাটি ছুঁয়ে গেছে। কোহলি তখন ২২ রানে।
পরের ওভারে মিরাজের বলে ইশান কিশানের ক্যাচ নিয়েছিলেন সাকিব। ডিপমিডউইকেটে দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্তভাবে বলটি ধরেন সাকিব। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না, ক্যাচ হয়েছে কিনা। আম্পায়ার চেক করে দেখেন, এবারও বল মাটিতে স্পর্শ লেগেছে। ব্যক্তিগত ৮৪ রানে বেঁচে যান কিশান।
এমআই