নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সব শিশুকে সমান সুযোগ দেওয়া উচিত। সুযোগের সমতার জন্য ডিজিটাল লটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতা দূর করতেই ডিজিটাল লটারি চালু করা হয়। আমাদের অনেক সমস্যা আছে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে। লটারি নিয়ে অনেকেই খুশি। যদিও কিছু অভিভাবক এতে অসন্তুষ্ট। তাদের পচ্ছন্দমতো বিদ্যালয়ে সন্তানদের ভর্তি করতে না পেরে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন। সবকিছু কাটিয়ে স্কুলভর্তিকে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভর্তি-কোচিং বাণিজ্য, অবৈধ শিক্ষার্থী ভর্তি ও তদবির বন্ধ হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারি বিদ্যালয়ের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি স্কুলে আমরা দেখছি আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আবেদন কম। তাই বলা যায়, সব শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবে। আগে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকতো। এখন শিক্ষার্থীরা তা থেকে মুক্ত। নতুন শিক্ষা কার্যক্রম অনুযায়ীও শিক্ষার্থীরা চাপমুক্ত থেকে শিখবে। আমাদের লক্ষ্য সব স্কুলই হবে সেরা স্কুল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আগে কোমলমতি শিশুদের ভর্তির জন্য এক ধরনের ভর্তিযুদ্ধ আয়োজন করা হতো। বর্তমানে সেটি বন্ধ হয়েছে। শিশুদের মধ্যে মেধাবী আলাদাভাবে তৈরি করা যায় না। শিক্ষকের সান্নিধ্যে শিশুরা শিখে থাকে। তাই শিশুকে মেধাবী করার দায়িত্ব শিক্ষকের।
উদ্বোধনের আগে টেলিটকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই লটারি সম্পূর্ণ অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। এতে ত্রুটি থাকার সুযোগ কম। এই লটারি ১০ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। তবে বেসরকারিতে আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। স্কুলে ভর্তির নির্ধারিত ওয়েবসাইটে লটারির ফল দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
এমআই