মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদোন্নতি সংক্রান্ত সভায় নিজে সভাপতিত্ব করা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ-কেউ বলছেন নিজের পদোন্নতিতে সভায় সভাপতিত্ব করা যাবেনা তবে ইউজিসির একজন মুখপাত্র বলছেন, বিভাগের সভাপতি হিসেবে সভাপতিত্ব করা যাবে তবে নিজের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
ইংরেজি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৭ ডিসেম্বর বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় পদাধিকারবলে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাস। চারটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা এ সভায় একটি এজেন্ডা ছিল ড. বনানী বিশ্বাসের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত আলোচনা।
এই এজেন্ডা নিয়েউই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে প্রচার করা হয়, তিনি ‘অবৈধভাবে’ নিজের পদোন্নতিতে নিজেই সভাপতিত্ব করেছেন।
তবে এ বিষয়টিকে ‘অবৈধ’ হিসেবে দেখছেন না বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। তিনি বলেন, “বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সভাপতিত্ব করবেন বিভাগের প্রধান। আর যদি সভাপতি সংশ্লিষ্ট কোনো আলোচনা থাকে তবে তিনি শুধু সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন না। আলোচনা শেষে পুনরায় সভায় অংশগ্রহণ করবেন।“
বিভাগটির প্ল্যানিং কমিটির সদস্য ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুনের কাছে ঘটনাটি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তিনি (ড. বনানী বিশ্বাস) নিয়মানুযায়ীই প্ল্যানিং কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেছেন। আর তার বিষয়ের আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেননি। তার পদোন্নতি নিয়ে আমরা প্ল্যানিং কমিটির বাকি সদস্যরা আলোচনা করেছি।“
একই সুরে প্ল্যানিং কমিটির আরেক সদস্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, “তার (ড. বনানী বিশ্বাস) নথিপত্র আমরা ঘাটাঘাটি করেছি। তিনি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি। এখানে নিয়ম মানা হয়েছে।“
সভাপতিত্ব করার ঘটনাটি বিকৃতভাবে উপস্থান করা হচ্ছে অভিযোগ করে ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, “আমি নিয়মের মধ্যেই সভাপতিত্ব করেছি। তবুও কেউ কেউ আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। নিয়মানুযায়ী বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করা আমার দায়িত্ব। আমি এ দায়িত্ব পালন করেছি। আর আমি নিজের পদোন্নতির আলোচনায় অংশগ্রহণ করিনি। আমি তখন বাহিরে বের হয়ে গিয়েছি। তবুও কেনো উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে আমি জানি না।“
এমআই