লাবিন রহমান:
শীতের সকাল। চুলার পাড়ে বসা। আর মায়ের হাতের গরম গরম পিঠা। এযেন এখন শুধুই স্বপ্ন। জীবিকার প্রয়োজনে সকলে শহরে বা অন্য কোথাও। তাই বলে কি পিঠা খাওয়া বন্ধ থাকবে।
আর তাই শীত এলেই শহর ও গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা ও চিতই পিঠা। শীত বাড়ার সাথে সাথে শহরের ফুটপাতে শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। চুলার অল্প আঁচের ধোঁয়া উড়ছে। গরম গরম ভাপা, চিতই নামছে। ক্রেতারা এসে সারিবদ্ধ হয়ে পিঠা কিনছেন।
শীত মানেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ। কুয়াশা মুড়ানো শীতের হিমেল হাওয়ায় ধোঁয়া উঠা ভাপা-চিতই পিঠার স্বাদ না নিলে যেন তৃপ্তি মেটে না অনেকের। শীতের পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা একটি অন্যতম পিঠা।
সেগুন বাগিচা কাচা বাজারের পিঠা বিক্রেতা চান মিয়া জানায়, তিনি পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন ২শ' থেকে ৩শ' টাকা আয় করে থাকেন। এ কারণে শীত মৌসুমে তাদের সংসারে অভাব একেবারেই থাকে না। তার স্ত্রী মূলত ভাঁপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। এতে থাকে নারিকেল, খেজুর গুড় ও বাদাম এবং খেতেও স্বাদের। ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ফুটপাতের এসব দোকানে বিভিন্ন রকমের পিঠা পেয়ে খুব খুশি।
এসব পিঠা তারা নিজেরাও খান ও পরিবারের লোকজনদের জন্য নিয়ে যান। তারা অরো বলেন শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম পিঠা খেলে মনও ভালো থাকে পেটও ভরে।
সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাঁপা পিঠার গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে। সরষে বা ধনে পাতা বাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা মাখিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে ঝালে কান গরম হয়ে শীত পালায়।
অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সন্ধ্যার পর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে শ্রমজীবী, রিক্সা-ভ্যান চালক, ড্রায়ভার, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকসহ অভিজাত শ্রেণীর লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার শিতের পিঠা।
গ্রামের মানুষ নবান্নের আনন্দে যেভাবে শীতকে বরণ করে নিচ্ছে- হোক তা ঘরে কিংবা বাইরে, বাহারি পিঠার স্বাদে শীতকে বরণ করে নিচ্ছে এখন। শীতের মৌসুমি পিঠার স্বাদ এখন চাইলেই পাওয়া যায় জীবনে।
সময় জার্নাল/এলআর