নিজস্ব প্রতিনিধি:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের সাথে আমেরিকার খুবই ভালো সম্পর্ক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে। তারা আমাদের পরামর্শ দেয়। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, আশঙ্কারও কোনো কারণ নেই।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিআইআইএস ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমেরিকা যাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমেরিকা হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা দেয়। এগুলো একদিকে আসে, একদিকে যায়। আমরা মোটেও আশঙ্কা করি না। আমাদের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।
সাংবাদিকদের আতঙ্কের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এতো আতঙ্ক দেখেন কোথায়? এক কানে শোনেন আরেক কান দিয়ে বের করে দেন।
মোমেন পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর রোডম্যাপ উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি রোডম্যাপ দিয়েছেন, এর একটি হলো ২০৪১ সালের মধ্যে সত্যিকার অর্থে আমরা সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা গড়তে চাই, তাহলে আমাদের রিসোর্সগুলো কাজে লাগাতে হবে। আমাদের বড় রিসোর্স হচ্ছে মানুষ।
এগুলোকে কাজে লাগাতে হলে, কর্মসংস্থান করতে হলে, বাংলাদেশে আমাদের অনেক ম্যানুফ্যাকচারিং হাব করতে হবে। এদের কাজে লাগাতে হলে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে আমাদের রফতানি বাড়বে। বিনিয়োগের সাথে রফতানির বড় একটা সম্পর্ক আছে। যারা বিনিয়োগ করে তারা কিন্তু সংগ্রাম করে।
মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। এরপর যেটি হলো তা টেকনোলজি, আমি সেই টেকনোলজি আহরণ করবো যা ব্যবসা করার জন্য। টেকনোলজি শুধু মেশিন নয়, জ্ঞানভিত্তিক প্রক্রিয়া। আর শেষটি হলো সেবার গুনগত মান।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বাজার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন নতুন দেশে যাচ্ছি, শুধু মধ্যপ্রাচ্য না রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মাল্টা যাচ্ছি। একটার পর একটা নতুন নতুন বাজার তৈরি করছি।
উন্নয়নে বাংলাদেশ খুব ভালো করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নিজের কারণে ভালো অবস্থানে গেছেন, পন্ডিত ব্যক্তিরা, তারা যদি বলে দেশ ভালো অবস্থানে গেছে তাহলে ঠিক আছে। তাহলে অন্যরা শুনবে। এতে কোনো জোড়াজুড়ি নেই।
বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, তারা সারাদেশে সমাবেশ করেছে, শোভাযাত্রা করেছে, আর বাসের কোম্পানি তাদের নিজেদের তাগিদে তা বন্ধ করে দিলেন, সরকার তাদের বলে নাই। তারা গাড়ি বের করে নাই ভয়ে, কারণ তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দিবে।
ইতালি ও স্পেনে ই-পাসপোর্ট বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি ও স্পেনসহ আরো দু’একটা দেশে আমাদের বিপুল সংখ্যক জনগণ সমস্যায় আছেন। তারা বয়সের ক্ষেত্রে মিথ্যা বলে কাজ নেন। এবং পরে পাসপোর্ট সংশোধন করতে মিশনে আসলে তা নবায়ন করা সম্ভ হয় না।
ফলে তারা বিভিন্ন ছলছাতুরি করেন, বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ দেন। কেউ কেউ আবার বাবা ও মায়ের নাম পরিবর্তন করে ফেলেন। আমরা তো আর এই অনৈতিক কাজ করতে পারি না। তখন তারা মিডিয়ায় ভোগান্তির কথা বলেন আমরা পাসপোর্ট দেই না।
সময় জার্নাল/এলআর