ডা. নুসরাত সুলতানা: ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। ইউকে ভ্যারিয়েন্ট ও ডাবল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট ( ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট) একযোগে চালাচ্ছে এই ধ্বংস যজ্ঞ। তরুন, কিশোর, শিশু কেউ বাদ পড়ছেনা মারাত্মক কোভিড-১৯ সংক্রমনের হাত থেকে।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে আরেকটি দুঃসংবাদ। ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট বা B.1.618 এর আবির্ভাব ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এই ভ্যারিয়েন্টটি খুব সংক্রামক, এমনকি মারাত্মকও হতে পারে।
আমাদের জন্য উদ্বেগজনক যে, নতুন ভ্যারিয়েন্টটির উৎস পশ্চিমবঙ্গ। তাই ভ্যারিয়েন্টটির নাম "বেঙ্গল স্ট্রেইন"। ১৩০ টি জিনোম সিকুয়েন্সিং করে ১২৯ টি পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গে।
ইতোমধ্যে সারা বিশ্ব ভারতকে রেড লিস্টে রেখেছে। অর্থাৎ এই সংকটকালীন সময়ে সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য ভারত থেক আগমন- প্রস্থান সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে। বাংলাদেশের ও উচিৎ এ ধরনের পদক্ষেপ অবিলম্বে অবলম্বন করা।
বাংলাদেশে জিনোম সিকুয়েন্সিং এর পরিধি বাড়ানো উচিৎ। সরকারী- বেসরকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্সটিটিউটের এগিয়ে আসা উচিৎ।
লেখক : ডা. নুসরাত সুলতানা
সহকারী অধ্যাপক
ভাইরোলজি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ