এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রবিউল ইসলাম খাঁন ও তার সমর্থদের সঙ্গে বনগ্রাম ও গোয়ালদী গ্রামবাসীর হামলা পাল্টাহামলা ও সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের বনগ্রাম ও গোয়ালদী গ্রাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই সংঘর্ষ চলাকালীন সময় বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রবিউল ইসলাম খাঁনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা রয়েছে। রবিউল অস্ত্র মামলায় জামিনে এসেই, ফেসবুকে এবং পুরাপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের লোকদের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এরই জের ধরে রোববার পুরাপাড়া বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে রবিউল ইসলাম খাঁন ও তার সমর্থকদের সঙ্গে বনগ্রামের আসাদ মোল্লা ও গোয়ালদী গ্রামের আক্কাস মোল্লার নেতৃত্বে বনগ্রাম ও গোয়ালদী গ্রামের শতাধিক মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টাহামলা ও সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
বনগ্রামের আসাদ মোল্লা জানান, রবিউল ওরফে রবি মেম্বার অস্ত্র মামলায় জামিনে এসেই এলাকার বিভিন্ন লোকদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। রবির অত্যাচার থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায়। রবি বাহিনীর হামলায় আজ বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। গ্রামবাসী এখন আতঙ্কের মধ্যে আছে।
রবিউল ইসলাম খাঁন ওরফে রবি মেম্বার জানান, প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। আমি জামিনে আসার পর প্রতিপক্ষরা আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছে।
পুরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বাবু ফকির জানান, প্রতিপক্ষরা রবির উপরই আগে হামলা চালিয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে চলমান বিরোধ মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এমআই