কামরুজ্জামান বাবলু :
দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মেয়েটি ভুগছে থ্যালাসেমিয়া রোগে। জন্মের এক বছর পরই তার শরীরে ধরা পড়ে এই রোগ। একই রোগে তখন ভুগছিলো তার বড় ভাই সুমনও। বাবা হারুনুর রশিদ তার ছোট ওষুধ ফার্মেসি দিয়ে যে সামান্য আয় করতেন তা দিয়ে দুজনের চিকিৎসা ও সংসার খরচ চালানো দু:স্বাধ্য হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামের বাড়িতে যে সামান্য সহায়-সম্পত্তি ছিল তাও বিক্রি করে ফেলেন হারুন, চলে যায় ফার্মেসিও।
২০০১ সালে থ্যালাসেমিয়া রোগের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় সুমন। চিকিৎসা চলতে থাকে সোমার। বাবা হারুন এরপর নানা জায়গায় কাজ করে কোনোমতে সংসার ও মেয়ের চিকিৎসা চালাতে থাকেন। হারুনের ঘরে জন্ম নেয় আরেক মেয়ে। সেই মেয়েটি অবশ্য সুস্থ।
অসুস্থতার কারণে সোমার আর পড়াশুনা হয়নি। তবে, তার ছোট বোনের পড়াশুনা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে ছোট বোনের বিয়ে হয়। তার ঘরে একটি বাচ্চাও রয়েছে।
সোমার বয়স এখন ছাব্বিশ। মিরপুরে ছোট্ট একটি বাসার একরুমে সাবলেট থাকে বাবা-মায়ের সাথে। বাবা সবশেষ একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন। করোনা মহামারিতে সেই কোম্পানিটিও বন্ধ হয়ে। এখন সে বেকার। মাঝে-মধ্যে সিএনজি ভাড়া করে চালায় হারুন। কিন্তু কোনো কাজ আর আগের মতো করার শক্তি তার নেই, বয়সের ভারে সে অনেকটাই ক্লান্ত। তার ওপর কয়েকদিন পর পর সোমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া, নিয়মিত বিরতিতে রক্ত দেয়া ও প্রতিদিনের ওষুধ কেনা – সব মিলিয়ে তিনি বড়ই পরিশ্রান্ত।
এমনই বাস্তবতায় সোমা বেশ কয়েক বছর আগে একটি সেলাই মেশিন কিনেছিলো। যখনই শরীরে একটু স্বস্তি ফিরতো সে সেই সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ করতো। আশ-পাশের পাড়া-প্রতিবেশিদের কাছ থেকে ছোট-খাট অর্ডার নিয়ে কাজ করতো সোমা। এভাবে প্রতিমাসে গড়ে সে তিন-চার হাজার টাকা আয় করতো। কিন্তু কয়েক মাস হলো তার মেশিনটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে।
সোমা কেবলই বাবার বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। তার চাওয়া আরেকটি নতুন মেশিন কিনে শত অসুস্থতার মধ্যেও সে বাসায় বসে সাধ্য মতো কাজ করবে। সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা হলেই সোমা কিনতে পারবে একটি মোটামুটি ভালো মানের সেলাই মেশিন। পবিত্র এই মাহে রমযান মাসে কারো ইচ্ছে হলে সোমাকে সাহায্য করতে পারেন।
সোমাকে সাহায্য করতে চাইলে ফোন করতে পারেন এই নম্বরে: হারুন-উর-রশিদ, মোবাইল নং- ০১৭৬২১৭৪৪০৪ (বিকাশও করতে পারেন একই নাম্বারে)।
ব্যাংক একাউন্ট
মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ
একাউন্ট নাম্বার – ২১১১০১৫৮৮০৩
ডাচ বাংলা ব্যাংক
পল্লবী শাখা, মিরপুর-১২, ঢাকা-১২১৬
সময় জার্নাল/ইএইচ