জেলা প্রতিনিধি:
পৌষ শেষের দিকে। শীতের তীব্রতার মধ্যে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। এতে করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রচণ্ড শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে।
যশোর শিশু হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ভর্তি শতকরা ৮০ শতাংশ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে (সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) আক্রান্ত। এ রোগগুলো খুব একটা ছোঁয়াচে না হলেও অন্যান্য রোগীদের আলাদা রাখা হয় তাদের কাছ থেকে। অধিকাংশ রোগীকে দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার।
খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল আমিন রাকিব বলেন, খুলনা শিশু হাসপাতালে ২৭৫ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ২৭৫ জন। এখানে এখন আর রোগী ভর্তি করার মতো শয্যা নেই। একই সঙ্গে হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন কয়েকশ শিশু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে, নওগাঁ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ২০ বেডের বিপরীতে ৬৫ জন শিশু ও ১০০ বেডের বিপরীতে সাড়ে ৩০০ রোগী ভর্তি রয়েছেন। বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের।
রোগীর স্বজনরা বলছেন, হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে। মেঝের চারদিকে নোংরা ছড়িয়ে আছে। এতে সমস্যা হচ্ছে।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে শিশুদের সুরক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খালি পায়ে না হাঁটা, বাইরে কম বের হওয়া, ঠান্ডা বাতাস না লাগানো, বিশুদ্ধ হালকা উষ্ণ গরম পানি খাওয়া ও গোসল করা, গরম কাপড় ব্যবহার করাসহ অপুষ্টিজনিত শিশুদের তাপযুক্ত স্থানে রাখাসহ অভিবাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা।
সময় জার্নাল/এলআর