ইসাহাক আলী, নাটোর:
জেপি ইন্টারনেট কোম্পানির প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে লোকবল নিয়োগের নামে প্রতারণার মিথ্যাচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে তার মানহানি ও তাকে লাঞ্চিত করার বিচার দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাটোরের ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিতে লোকবল নিয়োগে প্রতারণা করে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোম্পানিটির নাটোর জেলার এজিএম ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান।
তিনি দাবি করেন, শর্ত সাপেক্ষে কোম্পানিকে ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করে জেলার বাগাতিপাড়া থানার ডিলারশীপ নেন মহিদুল ইসলাম মনি। কিন্তু পরবর্তীতে কোম্পানির সাথে ব্যবসা করবেন না মর্মে টাকা ফেরত চেয়ে কোম্পানির কাছে আবেদন না করেই এজিএম হাবিবুর রহমানের কাছে টাকা ফেরত চান ডিলার মহিদুল ইসলাম মনি। ভুক্তভোগী এজিএম আরো দাবি করেন, কোম্পানির নীতিমালা ভঙ্গ করে লোকবল নিয়োগের কথা বলে ১৭-১৮ জনের কাছ থেকে অর্থ নেন মহিদুল ইসলাম। কিন্তু তাদেরকে দিয়েই হাবিবুরের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন মনি ও তার সহযোগিরা।
হাবিবুর জানান, ষড়যন্ত্র করে এরই একপর্যায়ে মহিদুলের অনুসারীরা গত ৬ জানুয়ারি বাগাতিপাড়া উপজেলার বারুইপাড়া এলাকায় পথরোধ করে হাবিবুর রহমানকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। যদিও লোকবলের নিয়োগে নামে
হাবিবের বিরুদ্ধে অর্থ নেওয়ার প্রমাণ বাদী বিবাদী কোন পক্ষই দেখাতে পারেনি তারা। তারপরও হাবিবকে অপমান অপদস্ত করাসহ মিথ্যাচারের বিচার দাবি করেন তিনি।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহিদুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। ডিলারশিপের টাকা তাকে ফেরত দিলে তার কোন অভিযোগ নাই। এছাড়া তিনি দাবি করেন, হাবিবুর রহমান-ই লোকবল নিয়োগের কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে। তার কোন প্রমাণ তার কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে তার কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে গড়মিল পাওয়া গেছে। তারপরেও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই