বুধবার, জানুয়ারী ১১, ২০২৩
রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে গত চার দিন ধরে দিনের বেলা সুর্যের দেখা মিললেও সন্ধার নামার আগেই নিম্নগামী হয়ে পড়ছে তাপমাত্রা। রাত যতই গভীর হয় বাড়তে থাকে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা।
জেলায় বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে জন-জীবনে। ব্যহত হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রাও। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছে ছিন্নমুল শ্রেণির মানুষেরা। জীবন-জীবিকার তাগিদে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে বের
হচ্ছেন শ্রমজীবিরা। কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকসহ চরাঞ্চলের মানুষেরা।
জেলার রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের কৃষক সুরুজ্জামান জানান, জমিতে বোরো চাষের সময় হয়েছে কিন্তু কনকনে ঠান্ডার কারনে মঠে যেতে পারছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে বোরো আবাদ বিলম্বিত হয়ে পড়বে।
একই উপজেলার কৃষি শ্রমিক আবদার হোসেন জানান, রাতে কনকনে ঠান্ডায় খুব কষ্ট হয়। খুব বেশি গরম কাপড় নাই। এই ঠান্ডার কারনে সকালে যে কাজে বের হবো সে উপায়ও থাকে না। ঠান্ডা না যাওয়া পর্যন্ত খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানায়, গত চার দিন ধরে এ জেলায় মূদু শৈত প্রবাহ বিরাজ করছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে সরকারী ভাবে জেলার ৯ উপজেলায় দরিদ্র মানুষের জন্য ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, আরো নতুন করে ২৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে যা দ্রæত বিতরণ করা হবে।
এমআই