নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৪ জানুয়ারি তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম ন্যাশনাল টেক কার্নিভাল ২০২৩ আয়োজনে করে ওয়ান ওয়ে স্কুল। টেক বিষয়ক তথ্য জানতে পেরে খুব উচ্ছাসিত সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।
প্রযুক্তির বিবর্তনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় চাবিকাঠি হলো ফ্রিল্যান্সিং ও টেকনলজির ব্যবহার । উন্নত রাষ্ট্র গুলোর পর্যালোচনা করলে আমরা সহজেই অনুধাবন করতে পারি। আর এই ফ্রিল্যান্সার এবং টেকনোলজির উদ্যোক্তা তৈরির জন্য দরকার সমষ্টিগত কর্ম পরিকল্পনা। সরকারের পাশাপাশি আমাদের ওয়ান ওয়ে স্কুলের দূরদর্শী চিন্তার কারণে আজকে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় টেক কার্নিভাল -২৩ আয়োজিত হচ্ছে।
টেক কার্নিভাল এর মূল উদ্দেশ্য বর্তমান বিশ্বে টেকনোলজির প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা তুলে ধরা এবং এর সঠিক ব্যবহার সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।
কার্নিভালে বিশেষ স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোহাগ মিয়া, ডন সাম ডেনি, হাসান মাহমুদ , প্রীতো রেজা, নাফিস সেলিম, অনিক মাহমুদ এছাড়া আরও সফল ফ্রিল্যান্সার এবং টেকনোলজি উদ্যোক্তাগণ। এসময় স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ার এর কো-ফাউন্ডার হাসান মাহমুদ বলেন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে পাঁচটি কাজ করতে হবে।
১।নিজেকে স্মার্ট হতে হবে, ২।স্মার্ট গভার্নমেন্ট, ৩।স্মার্ট সোসাইটি, ৪।স্মার্ট প্রযুক্তি ৫।প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার।
অন্যদিকে সফল ফ্রিল্যান্সার অনিক মাহমুদ তরুণদের ভালো কাজের উৎসাহিত করর জন্য বলেন: "একশো বছর জীবিত থাকতে চাইলে একশো বছর বেঁচে থাকার দরকার নেই "।
কার্নিভালে তরুণ অংশগ্রহণকারীদের মেধা যাচাই এর জন্য তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত কুইজের আয়োজন করা হয়।
এখানে দুটি ক্যাটাগরিতে প্রথম ৬ জন বিজয়ীকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট এবং স্কিলড করার লক্ষ্যে ২০ হাজার টাকার সমমূল্যের কোর্স দেওয়া হয় সম্পূর্ণ ফ্রি।
কার্নিভালে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সেরা সদস্যদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ক্যাটাগরি সমূহ:
* দ্যা বেস্ট মেন্টর আওয়ার্ড
* দ্যা বেস্ট লিডার আওয়ার্ড
* দ্যা বেস্ট লিডিং আওয়ার্ড
* দ্যা বেস্ট ভলেন্টিয়ার আওয়ার্ড।
কার্নিভালে তরুণ অংশগ্রহণকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে ওয়ান ওয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সিফাতুর রহমান বলেছেন: " আমাদের তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে নতুবা আমরা আমাদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং কর্মসংস্থান হারিয়ে ফেলবো" এবং ওয়ান ওয়ে স্কুলের ডিরেক্টর জেনারেল মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন: "দক্ষ তরুণসমাজ একটি দেশের জন্য বড় সম্পদ, আর তাই প্রতিটি তরুণের উচিত নিজেকে ডেভেলপ করা এবং দায়িত্বশীলদের উচিত সুযোগ তৈরি করে দেওয়া"
পরবর্তী বছরগুলোতেও আমাদের এমন ইভেন্ট অব্যাহত থাকবে। সাথে বড় পরিসরে পোগ্রামিং কন্টেস্ট থেকে শুরু করে সকল ধরনের টেকনোলজি বিষয়ক কন্টেস্ট করানো হবে।
এমআই