লাবিন রহমান:
টানাটানির সংসার। আবাদি জমি অল্প। কৃষি থেকে আয় হত কম। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ গ্রামের মৃত রশিদুল হকের সন্তান আবু বক্কর সিদ্দিক। সে আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন তিনি।
তাই বাড়ির পাশে একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে শুরু করেন স্যানিটারীর (রিং, স্ল্যাপ তৈরি) কাজ। সময় ও শ্রম পুরোদমে ব্যয় করে আসছিলেন সিদ্দিক। তারপরও পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারছিলেননা।
স্থানীয় বেসরকারি এক সংস্থার সহযোগিতায় নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। পরিবেশবান্ধব হলো-ব্লক ও ইকো ব্রিকস তৈরি করতে শুরু করেন। এজন্য নেন আবাসিক প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেন।
বছর যেতে না যেতেই সফলতার হাতছানি পেয়েছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন মায়ের দোয়া হলো ব্লক ফ্যাক্টরি। পাশাপাশি আরো তৈরি হয়েছে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান। এখন সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন তিনি।
ব্রিকস কিনতে আসা আব্দুস সোবহান বলেন, আগের দুইটি ঘর আমার রয়েছে। সে দুটো ঘর পুড়া মাটির ইট দিয়ে তৈরি করা। এবার নতুন করে একটি ঘর তৈরি করার জন্য এই ব্রিকস গুলো কিনতে এসেছি। যতটুকু জেনেছি এগুলো দিয়ে ঘরের কাজ করালে প্লাস্টার করার তেমন কোন চিন্তা থাকেনা। সেই সাথে পুড়া মাটির পাঁচটি ইটের সমান একটি ইট।
উদ্যোক্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ইটের মাধ্যমে আবাদি জমি ও পরিবেশের কোন ক্ষতি হয়নি। তারপর পাঁচ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি ব্রিকস তৈরির কাজ শুরু করি। তারা আমাকে মেশিন দিয়ে সহায়তা করেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে এটি ব্যবহারে প্লাস্টার করা জরুরি ভাবে দরকার হয়না।
সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট, ইএসডিও-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মূলত হলো ব্লক ও ইকো ব্রিকসে জ্বালানি হিসেবে কাঠের যে ব্যবহার সেটি থাকছেনা। যে কারণে এটি পরিবেশবান্ধব।
সময় জার্নাল/এলআর