মো: মিরাজুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
শুন্য আসন সমূহ মেধাতালিকা অনুসারে পূরণের জন্য রিপোর্টিং এর জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। গুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ে ১ হতে ৭ম মেরিটে নানাবিধ কারণে যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদের ভর্তির সুযোগ থাকলেও খুবিতে এমন সুযোগ রাখা হয়নি।
জানা যায়, বেশকিছু শিক্ষার্থীর প্রবল ইচ্ছা ছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু ৬ষ্ঠ মেরিট দেওয়ার পর যখন বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশান অফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন তাদের ইচ্ছার বাইরে অনেক দূর-দূরান্তের ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়। এতে করে অনেকেই নানাবিধ কারণে ৬ষ্ঠ মেরিটে ভর্তি হয়নি। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী শিক্ষার্থী এবং তাদের অবিভাবকের দূরে পড়ানোতে অপারগতার জন্য এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও তখন অনেক শিক্ষার্থী ভালো মার্কস পেয়েও সুযোগ-সুবিধা কম থাকা ভার্সিটি তে ভর্তি হতে চায়নি আবার কিছু ভর্তিচ্ছু নোটিশ পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি।
খুবিতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আনিকা তাহসিন বলেন, আমি শুধু মাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো বলেই সেকেন্ড টাইম করেছি। কিন্তু ৬ ষষ্ঠ মেরিটে জগন্নাতে ভর্তির সুযোগ আসে। আবার এদিকে মাইগ্রেশন অফ হওয়ার জন্য খুবিতে পড়া হতো না তাই ভর্তি হইনি। এখন আমার একটা বছর পুরোটা শেষ তার সাথে এতোদিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্বপ্ন দেখা সব শেষ হয়ে গিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যদি বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতো তাহলে আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের প্রতি হক আদায় করতো।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, কিছু শিক্ষার্থী আছে সেকেন্ড টাইমার। ৬ষ্ঠ মেরিটের পর গুচ্ছের নানান ধরনের নোটিশ তাদের বুঝে উঠতে সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আশাভঙ্গ করে দেয়। এসব নিয়ে হতাশা প্রকাশসহ কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। নানাবিধ কারণে যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদের বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের সেই নিভে যাওয়া আশা জ্বলে উঠেছে।
অপর এক শিক্ষার্থী শাহ আলম বলেন, গুচ্ছের বিভিন্ন ধরনের নোটিশ না বুঝতে পেরে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্নই শেষ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার আবার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের কি বলে ধন্যবাদ দিবো ভাষা পাচ্ছিনা। এছাড়া আমি মনে করি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সুযোগ দেওয়া উচিত।
শুধু আনিকা বা শাহ আলম নয়, এরকম বেশকিছু শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণবিজ্ঞপ্তিতে এরকম সুযোগ রাখার জন্য অনুরোধ করেন শিক্ষার্থীরা এবং দেশের প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেও খুবি প্রশাসনকে এই বিষয় গুরুত্বারোপ করতে আহবান জানান তারা।
এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, এ বিষয়ে গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা ছিলো না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সকল ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্র, পূর্বের ভর্তি অভিজ্ঞতার আলোকে কতজন শিক্ষার্থীদের রিপোর্টিং এর সুযোগ দিলে আসন পূরণ হবে তা অনুমান করে বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব নিয়মে শিক্ষার্থীদের রিপোর্টিং এর সুযোগ দিয়েছে। আমরা তাদের কথা বিবেচনা করেই ২২ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু করতে চাচ্ছি। তবে নানাবিধ সমস্যায় পরা শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এমআই