আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ তাদের শোকাহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর শুরু করা হয়েছে। করেছে মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে।
প্রথমে পোখারা হাসপাতাল থেকে ১০টি লাশ আর্মি ট্রাকে করে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে লাশগুলো রাজধানী কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়া আরো তিনটি লাশ পোখারায় তাদের শোকাহত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদেরও ক্রমান্বয়ে হস্তান্তর করা হবে।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারায় যাবার পথে রোববার সকালে নেপালের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৭২ আরোহী ছিলেন।
রোববারের দুর্ঘটনায় নিহত ৬৮ যাত্রীর মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশী নাগরিক। চারজন ক্রুসহ বিমানের ৭২ জন আরোহীর মধ্যে ৫৩ জন ছিলেন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান এবং দু’জন কোরিয়ান। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন ওই বিমানটিতে।
পুলিশ কর্মকর্তা এ কে ছেত্রি বলেছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
সিনিয়র অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, কাউকে আর জীবিত পাওয়ার আশা একেবারেই নেই।
উল্লেখ্য, নেপালে দুর্গম রানওয়ে ও হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটিতে ১৯৯২ সালে সবচেয়ে মারাত্মক এক বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৭ আরোহীর সকলেই প্রাণ হারিয়েছিল। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়।
সময় জার্নাল/এলআর