বুধবার, জানুয়ারী ১৮, ২০২৩
সময় জার্নাল ডেস্ক:
“নতুন ধানে, নতুন প্রাণে, চলো মাতি পিঠার ঘ্রাণে” ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইংরেজি বিভাগের “খাবারে বাঙালিয়ানা” উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসব স্টল পরিদর্শন করেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টাট শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য গনেশ চন্দ্র সাহা, রেজিস্টার অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত রেজিস্টার অধ্যাপক ড. শাহ আলম চৌধুরী ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান এস জুবাইর আল আহমাদ, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মিলি রহমানসহ অনেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসে পিঠা প্রেমী শিক্ষার্থীদের ভিড়ে জমে ওঠে। এ বছর উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসেছে ৮টি স্টল। স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে। পৌষালী মিঠাই ,সাহিত্যেক ভোজন বিলাস, কলাপাতা, ষোল আনাই বাঙ্গালিয়ানা, ক্ষণিকা, স্বাদে বাঙ্গালিয়ানা, স্বাদে বাঙ্গালিসহ অন্যান্য। বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে- টাটকা খেজুরের রস, খেজুরের পায়েস, গাজরের হালুয়া, দুধ পুলি, দুধপুলি পিঠা, সূর্যমুখী, পাকোয়ান পিঠা, শামুক পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসে ভরা সবজি পিঠা, খিরপুলিসহ আরও নানা পিঠা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব পিঠা। পিঠা উৎসবে পিঠা খেতে আসা আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইভা বলেন, পিঠা নিয়ে উৎসব হচ্ছে শোনামাত্রই পিঠা খেতে এ উৎসবে চলে এসেছি। কয়েক রকম পিঠা খেয়েছি ইতোমধ্যে। খুবই সুস্বাদু পিঠা এবং দামও তুলনামূলক কম।
পিঠা উৎসবের আয়োজক ইংরেজি বিভাগের ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনিম বিল্লাহ বলেন, ইউনিভার্সিটিতে প্রথমবারের মত খাবারে বাঙালিয়ানা উৎসবে ১০ টা আইটেম করেছিলাম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, খেজুরের রস, গাজরের পায়েস, হাঁসের মাংস, দুধ ও পিঠাপুলি সবকিছু কম সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আনন্দের সাথে উৎসবমুখর সময়টি কেটেছে। প্রতিবছর এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও করবেন বলে জানান তিনি।
/আইপি