এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী পৌর এলাকায় নির্ধারিত কিছু ওয়ার্ড এ হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের জন্য ডিলারদের মাধ্যমে সরকারী ছুটি ব্যতীত প্রতিদিন ৫ কেজি করে চাল ৩০টাকা দরে ও ৩ কেজি আটা ২৪ টাকা দরে ১৬৮ জনকে দেয়া হয় ।
কিন্তু সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হতদরিদ্র পরিবারের জনগন ভোর ৫ টা থেকেই ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা বাজারে জলিল মীর ডিলারের দোকানের সামনে পুরুষ - মহিলারা দীর্ঘ লাইন ধরে চাল, আটা সরবারহের ৪/৫ ঘন্টা পূর্বেই অপেক্ষা করতে থাকে ।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই চাউল ও আটা দেবার নিয়ম থাকলে ও ২/১ ঘন্টার মধ্যেই সরবরাহ শেষ হয়ে যায় । এতে অনেকে পায় , আবার অনেকেই না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায় ।
রিকশা চালক আমজাদ, শফিক, নাঈম ও কেরামত জানান , চাউল নিতে আসলে প্রায় সারা দিনের কাজ বন্ধ থাকে , আবার কাজে চলে গেলে এদিক এসে চাউল , আটা পাই না । তারা আরো জানান, অনেকেই নামাজের পরে এসে দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে তারপরে ও অনেকে খালি হাতে ফেরত যান ।
চাউল , আটা না পাওয়া পলি, জরিনা, কুসুম জানান , আমরা দীর্ঘ ২/৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে কিছুই পাই নাই , তার আগেই সব শেষ বিক্রী হয়ে গেছে ।
কয়েকজন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার সাথে কথা বললে তারা জানান , আমরা বাসা বাড়িতে কাজ করি , এমন সময় আটা , চাল সরবরাহ করা হয় তখন আমাদের বাসা বাড়িতে বা ইট ভাটায় গিয়ে কাজ করতে হয়। এ ধরনের সমস্যার জন্য আমরা সময় মত আসতে পারি না , আসলেও দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ।
চাল না পাওয়ার ক্ষোভে একাধিক হত দরিদ্ররা জানান , আমাদের দাবি সরকারের নিকট আমরা যেন বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিভিন্ন কাজ শেষ করে বিকেলে চাল ও আটা সংগ্রহ করতে পারি সে ব্যবস্থা করে দিলে আমরা কিছুটা সুবিধা ভোগ করতে পারি ।
ফরিদপুরের সচেতন সুধী মহল জানান , হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য ন্যায্য মুল্যে সরকারের চাল , আটা দেওয়া পদ্ধতিটা ভালো কিন্তু এ পদ্ধতিটা পরিবর্তন করে বিকেল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ধার্য করা হলে হতদরিদ্র পরিবারের লোকগুলো সারাদিন কাজকর্ম করে আটা - চাল সংগ্রহ করতে পারে এবং সরকারের পরিকল্পনাটি শতভাগ বাস্তবায়নে রুপ নিবে । এতে জনগণের উপকার হবে।
এমআই