সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
তরুণী হত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে (৪২) আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার পর কলেজছাত্রী মোসারাত জাহানের ঝুলন্ত মৃতেদহ গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর নিহত তরুণীর বড় বোন নুসরাত জাহান (৩৪) বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ ও গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাট বি-৩ এপার্টমেন্টটি দুই মাস পূর্বে এক লক্ষ টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন আহমেদ সোবহান আনভীর। উক্ত বাসায় মুনিয়া থাকত এবং আনভীর মাঝে মাঝে উক্ত বাসায় আসা যাওয়া করতেন।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই তরুণী ফ্ল্যাটটিতে একাই থাকতেন। সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা থেকে তার বোন এসে দরজা বন্ধ পান। তিনি মুনিয়াকে ফোন দিলেও রিসিভ করছিলেন না। এরপর পুলিশকে খবর দিলে রাতে বাইরে থেকে তালা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজনের বরাতে পুলিশ জানায়, মুনিয়া তার বড় বোনকে ফোন করে বলেছিলেন ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে তিনি মুনিয়ার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন।
নিহত মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়। ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে না।’
উল্লেখ্য, ১০ মাস আগে আনভীরের পিতা আহমদ আকবর সোবহান শাহআলমের বাসায় বাজার করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সাইফুলকে দড়িতে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। হত্যার অভিযোগ ওঠার পরে শাহআলম সাহেব কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
সময় জার্নাল/ইএইচ