মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহে ঘুষ,দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করে উপজেলার ৭নং চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভুর্মি কর্মকর্তা সানাউল ইসলাম কতৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের লিখিত অভিযোগের পেক্ষিতে
তদন্ত শুরু হয়েছে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টা দিকে উপজেলা ভুমি অফিস কার্যালয়ে ঐ দিনের ঘটনায় ভুক্তভোগী তিন সাংবাদিক ও অভিযুক্ত ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সানাউল ইসলামের শুনানী ও লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জোহরা সুলতানা জুথি।
এ সময় জেলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক রকিব হাসান নয়ন বলেন সেদিনের ঘটনায় আমাকে উপজেলা ভুমি অফিসে ডাকা হয়েছিলো আমি সহ সেদিন লাঞ্ছিত হওয়া আরও দুই সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে ঐ দিনের ঘটনার প্রমানাদি অডিও ভিডিও সহ আমােদর লিখিত বক্তব্য পেশ করেছি।
ভুক্তভোগী আরেক সাংবাদিক সাকিব আল হাসান নাহিদ বলেন, ঐ ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই এর আগে এই ভুমি কর্মকর্তা উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে থাকাকালীন ঘুষ বানিজ্য করেছে ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে
সেদিন এসব অনিয়ম ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন ভুমি কার্যালয় থেকে আমাদের ধাক্কা দিতে দিতে বের করে দেন। দ্রুত সময়ে কতৃপক্ষের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মেলান্দহ রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শাহ জামাল বলেন, ঐ ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি, সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দ্রুত সময়ে বিচার দাবি করছি। তা যদি না হয় আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবো
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, ঐ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে দ্রুত সময়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ, গত ২৫ জানুয়ারী জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে সাংবাদিকদের গলাধাক্কা দিয়ে ভূমি অফিস থেকে বের করে দেন ছানাউল ইসলাম। এ ঘটনায় সেদিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী তিন সাংবাদিক।
এমআই