সময় জার্নাল প্রতিবেদক, ঢাকা : জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস আগামীকাল। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে শেখ হাসিনার সরকার।’
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করেন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ আইনের বাস্তবায়ন কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রম সক্রিয়করণের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ২০১৪ সালে মন্ত্রী হিসেবে আনিসুল হক এমপি দায়িত্ব গ্রহণের পরেই সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে আরও জনবান্ধব ও সম্প্রসারিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর দিক-নির্দেশনায় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস, চৌকি আদালত বিশেষ কমিটি, শ্রম আদালত বিশেষ কমিটি, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে একজন করে সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজ পদমর্যাদার বিচারককে লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০১৬ সালে আইনমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে ডিজিটেলাইজেশন করা হয়। এ ব্যবস্থাপনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় লিগ্যাল এইড সেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয় লিগ্যাল এইড অনলাইন কার্যক্রম।
তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের জনকল্যাণমূলক আইনি সেবার বার্তা পৌঁছে দেওয়া ও সরকারি আইনি সেবার বিষয়ে অধিকতর জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৩ সালের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ এপ্রিলকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং তখন প্রতি বছর দেশব্যাপী র্যালি, লিগ্যাল এইড মেলা, রক্তদান কর্মসূচি, পথনাট্ক, সভা-সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন করা হয়।
করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব বাণী দিয়েছেন। দরিদ্র, অসহায় ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষকে আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বুধবার জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সীমিত পরিসরে স্ব স্ব কর্মসূচি পালিত হবে।