মোমেন মুনি, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: দোকানের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে যাওয়ার পরই ওই দোকান মালিকের ছেলে সাংবাদিক মেহেদী হাসান রাজুর (২৮) উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর ধামইরহাট ইসবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ কণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মেহেদী হাসান রাজু জানান, ‘আমার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর ধামইরহাট ইসবপুর বাজারে একটি কীটনাশকের দোকান আছে। দোকান থেকে ইসবপুর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে ফিরোজ হোসেন ২ হাজার ৭৭৫ টাকা বাঁকীতে কীটনাশক ক্রয় করে।
গত ২৫ এপ্রিল বাঁকী টাকা চাইতে গেলে আমার বাবা রজব আলী ও ছোট ভাই সাজুর সাথে কথা কাটাকাটি, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কিল-ঘুষি মারে।
এরপর আমার পরিবারের সীদ্ধান্তে আমি গত ২৬ এপ্রিল ধামইরহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ নম্বর ৪৮৫।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের এএসআই আশরাফুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল তদন্ত করে।
পুলিশ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি জিয়াউর রহমান ভুট্টু, তার ছেলে ফিরোজ হোসেন, আতোয়ার রহমান সহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতারি মারধর করে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।”
এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মুমিন জানান, তাদের একটি অভিযোগে পুলিশ তদন্তে গিয়েছিল। তারপরে কিছু ঘটে থাকলে লিখিত অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এমআই