আব্দুল কাইয়ুম,সাভার:
সাভারের আশুলিয়ায় এক যুবককে ডেকে নিয়ে বাজারে সবার সামনে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। আঘাতে ভুক্তভোগী যুবকের মাথা ফেঁটে যাওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী যুবক।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার এসআই ইউনুস। অভিযুক্তরা হল, আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের খেজুরটেক পুরানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মো: লকিতুল্লা(৬০) ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ(২৮)।
ভুক্তভোগী যুবক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ (৩৬) একই এলাকার নাসির উদ্দিন তালুকদারের ছেলে। ভুক্তভোগী ফরিদ আহমেদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে আমি খেজুরটেক বাজারের একটি দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ এসে আমাকে ডাক দেয় শহিদ। আমি দোকানের বাইরে দেখি তার বাবা লকিতুল্লা দাড়িয়ে আছেন। দোকান থেকে বের হতে না হতেই আমাকে মারধর শুরু করে শহিদ। পরে আমার মাথায় কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি খেয়াল করতে পারিনি। পরে আমার মাথা দিয়ে রক্ত বের হওয়া শুরু করে। উপস্থিত সবাই শহিদকে ধাওয়া দিলে শহিদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। আমি কিছুই জানিনা কেন আমাকে মারল। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত লকিতুল্লা বলেন, ফরিদের ভাগিনা আমাকে রাতের আধারে মারধর করেছে। পরে আমার ছেলে ক্ষেপে গিয়ে ফরিদকে ডাক দেয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ফরিদ একটি দোকানের সাটারের সাথে বাড়ি খায়। তখন মনে হয় তার মাথা কেটে গেছে। ফরিদ দোকানেই বসে ছিল। আমার ছেলে তাকে দোকান থেকে ডেকে বের করে। তাকে মারাটা ভুল হয়েছে। আমরা বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করতে চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি। লকিতুল্লা আগে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিল। প্রতিবছরই তাদের বিচার শালিশ লেগেই থাকে। এর আগে বহুবার বিচার করা হয়েছে। বাদী বিবাদী চাইলে আমরা সবাই বসে সামাজিক ভাবে মীমাংসা করতে পারি এছাড়া ফরিদ যদি চায় আইনী পদক্ষেপ নিবে। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
/আইপি