লাবিন রহমান:
একটু একটু করে জমে উঠছে। আমাদের প্রাণের মেলা। একুশের বইমেলা। প্রকৃতি যেন আমাদের উৎসাহ দিচ্ছে। হালকা শীত, মিষ্টি বাতাস, রূপ, বৈচিত্র সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতি বলছে ঘর থেকে বের হতে। আর গন্তব্য বইমেলা।
বইমেলা এখন আর শুধু লেখক, প্রকাশক তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পুরোন বন্ধুদের মিলন মেলা। নতুন বন্ধুদের মিলন মেলা। একে অপরকে বই উপহার দেয়া। কারো বই মেলায় আসলে তাকে নিয়ে চুলচেলা সমালোচনা। আর কারণে অকারণে হাসি।
এসময়ের ব্যস্ত নগর জীবনে বন্ধুদের সাথে কালে ভদ্রে দেখা হয়। এই মাসে সবার সাথে দেখা করার সুন্দর জায়গা। শহরের নানা প্রান্ত থেকে অনেকেই আসেন। আবার অনেক হারানো বন্ধুর সাথে দেখা হয় এখানে।
এই বইমেলা আমাদের অর্থনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। একটা বই বের করা নিয়ে কম্পোস, ছাপাখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ হয়। এরসাথে অনেক মানুষ জড়িত থাকেন। সেইসাথে বই কেনা-বেচা তো আছেই।
এবারের বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়।
একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ১০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় রয়েছে ৩৮টি প্যাভিলিয়ন।
প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত 'শিশুপ্রহর'। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে এবার।
বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রাত সাড়ে আটটার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
আসছে বসন্ত। আর কদিন পরেই। বইমেলা পাবে আরো এক ভিন্নমাত্রা। পরিবার পরিজন নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই তৈরি হচ্ছেন। অনেকে নতুন পোশাক তৈরি করছেন। আমাদের জন্য বইমেলা আনন্দের, ভালোবাসার আর নিজেকে খুজে পাওয়ার।
সময় জার্নাল/এলআর