সময় জার্নাল ডেস্ক:
মিশরে কায়রো আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ তানভীর হোসেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানী কায়রোর গ্র্যান্ড নাইল টাওয়ার হোটেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুখতার জুমা চার দিনব্যাপী কোরআন এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
বিশ্বের ৫৮টি দেশের ১০৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে পরিপূর্ণ ৩০ পারা হেফজুল কোরআন (তাজভীদ) প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের তানভির হোসাইন। প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন যথাক্রমে ঘানা ও মালদ্বীপ।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অন্ধ হাফেজ তানভীর হোসাইনের তেলাওয়াতে মিশরের ধর্মমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুখতার জুমাসহ বিচারকরা মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
আগামী পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদর রাতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেবেন মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল ফাত্তাহ সিসি।
আট ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের জন্য রয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার, যথাক্রমে ২৫০,০০০ ও ১৫০,০০০ এবং ১০০০০০ মিশরীয় পাউন্ড, যা টাকায় দাঁড়ায় (৮৯৭৭৭৫, ৫৩৮৬৬৫ ও ৫০০০০০ টাকা।
তানভীর হোসাইনের সঙ্গে কায়রো আসা তার প্রধান শিক্ষক যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদরাসার প্রিন্সিপাল নেছার আহমেদ আন নাছিরি জাগো নিউজকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার প্রিয় ছাত্র অন্ধ হাফেজ তানভীর হোসাইন খুব ভালো তেলাওয়াত করেছে।
তিনি বলেন, এর আগেও সে একাধিকবার আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে দেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছে।
২৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন মিশরের ধর্মমন্ত্রী ড. মুহাম্মাদ মুখতার জুমা, গ্র্যান্ড মুফতি আল্লামা ড. শাওকি, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাসচিব ড. নাজির আইয়াদে, আল-আজহারে শরিফের গ্র্যান্ড ইমামের পক্ষে ড. ওসামা আল-আব্দ, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রেসিডেন্টসহ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ইসলামী স্কলার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাকড়া গ্রামের ২৭ বছর বয়সী জন্মান্ধ হাফেজ তানভীর হোসাইন রাজধানী ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র।
এর আগে, তানভীর সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় ৭৩টি দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে প্রথমস্থান অধিকারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতাটি চলতি বছরে মিশরের প্রয়াত ক্বারী মোস্তফা ইসমাইলের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর