আসাদুজ্জামান:
জীবনের সব ক্ষেত্রেই অর্থনীতির ব্যবহার অপরিহার্য। অর্থনীতি বিষয়ক জ্ঞান প্রয়োগ করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। পড়ালেখাটা শুধুই সংখ্যা, লেখচিত্র, হিসাব–নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অর্থনৈতিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে কীভাবে মানুষের জীবনযাপনকে আরও উন্নত করা যায়, সেটাই একজন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শিখতে চেষ্টা করে।
আমাদের দেশের অর্থনৈতিক খাতে কী ধরনের পরিবর্তন আনা যায়, স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষতার সঙ্গে কীভাবে পরিচালনা করা যায়, কীভাবে কম খরচে বেশি মুনাফা লাভ করা যায়—এ সম্পর্কে অর্থনীতির শিক্ষার্থীদের ধারণা থাকে। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে সীমিত উৎস দিয়ে নিজেদের ঘরোয়া বাজেট, খরচ ও আয়কে কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, তাও জানা যায় অর্থনীতি পড়ে। এইসএসসিতে যেকোনো বিভাগে পড়ে থেকে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করা যায় । তবে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা অর্থনীতিতে অনার্স পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার পায়।
অর্থনীতিতে অনার্সে পড়ে, একটি দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থার উপর প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়গুলো জানা যায়। এছাড়াও দেশের মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার মান হ্রাস বৃদ্ধি ইত্যাদি জানা যায়। মানবিক বিভাগের একমাত্র অর্থনীতি বিভাগেই ভালো সিজিপিএ তোলা যায়। ইতিমধ্যে অনেক অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষা্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা দিয়ে ব্যাংক সহো বেশ কিছু ভালো সেক্টরে আছে। অনেকেই মনে করে বিবিএ আর অর্থনীতি একই, তা মোটেও ঠিক নয়। অর্থনীতি পড়ে বিসিএস ক্যাডার হাওয়ার সুজগ রয়েছে। এছাড়াও অর্থনীতিতে পড়ে শিক্ষক নিবন্ধনও দেওয়া যায়। যেহেতু অর্থনীতি পড়ে ভালো সিজিপিএ তোলা যায়। সেহেতু অর্থনীতিতে পড়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যায়। যদি প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি অর্থনীতি পড়েও ভালো প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন।
অর্থনীতি বিভাগের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এই বিষয়ে পড়ালেখা করে বৈচিত্র্যপূর্ণ সব সেক্টরে কাজ করা যায়। নিজর মেধা এবং পছন্দ অনুযায়ী সুযোগ খুঁজে নেয়ার জন্যে অর্থনীতিতে পড়াশোনা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। ব্যাংক, সরকারী,এনজিও, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, ডেভেলপমেন্ট সেক্টর, থিংক ট্যাংক, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সবখানেই চাকরির সুযোগ থাকে ।পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে পটু হবার কারণে উদ্যোক্তা হতে চাইলে সে সুযোগও থাকছে।
লেখক: আসাদুজ্জামান ,সদস্য, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি।
/আইপি