আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার সাতদিনের বেশি সময় পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় আদিয়ামান শহরের এক অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ওই শিশু জীবিত উদ্ধার হয়েছে।
তুরস্কের একজন মন্ত্রী ও গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে ওই শিশুকে জীবিত উদ্ধারের খবর দেওয়া হয়েছে।
দেশটির একজন মন্ত্রী বলেছেন, ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আদিয়ামান শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আজ ছয় বছর বয়সী এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৭৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ওই কিশোরী জীবিত উদ্ধার হয়েছে।
তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন তুর্ক বলছে, মীরে নামের শিশুটির বয়স ছয় বছর। উদ্ধারকারীরা তার বড় বোনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন। তবে এর আগে তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রী আদিল কারাইসমাইলোগলু শিশুটির বয়স চার বছর বলে জানিয়েছিলেন।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হানার সাত দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। গত সোমবার স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে প্রতিবেশী দুই দেশে। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে উভয় দেশে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়া আর প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেই সিরিয়া-তুরস্কে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে উভয় দেশে উদ্ধারের গতি ঝিমিয়ে পড়ছে। ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া হাজার হাজার ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষকে জীবিত উদ্ধারেরও আশাও ফুরিয়ে আসছে।
সোমবার জাতিসংঘের দাতব্যবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো শহর পরিদর্শন করেছেন। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এই নগরীর মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা এখন বিশ্বের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গ্রিফিথস বলেছেন, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় উদ্ধার পর্ব ‘শেষ হয়ে আসছে।’ তিনি বলেন, গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি অবস্থা এখন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এখন মানুষের আশ্রয়, খাদ্য, শিক্ষা এবং মনোসামাজিক সেবাপ্রদানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তুরস্ক এবং সিরিয়ার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়ে শিগগিরই বিবৃতি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমআই