আব্দুল কাইয়ুম, সাভার:
সাভারের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৫ ডাকাতকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে সাভারে চলতি বাসে ডাকাতির ঘটনায় ৪ গরু ব্যবসায়ীর প্রায় ১৯ লাখ টাকা খোয়ান। পরে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠায় ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ধামরাই, রায়েরবাগ ও কদমতলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হল, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার গুনপালদি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে হাফিজুল শেখ(৩৮), নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাও থানার ভিটি পরমেশ্বদী গ্রামের তনু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম(২৯), ঢাকার ধামরাই থানার কেলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আমির হোসেন(৩০), ধামরাই এর শাশন গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে জাকির হোসেন রাজা (৩৪), মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার ডাহিরপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৭)। এর আগে এই ঘটনায় জড়িত আরও ২ জন নাসির ও জসিমকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা হলেন- সিদ্দিক হোসেন (৫০), কিসমত আলী (৫৩), হানফি (২৮) ও কালু (৩০)। তাদের সবার বাড়ি মেহেরপুর জেলা গাংনী থানার রামকৃষ্ণপুরে গ্রামে। তারা কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র গাবতলীর হাটে গরু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৮ জুলাই গাবতলী গরুর হাটে ১২ টি গরু বিক্রির ১৯ লাখ টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে গরু ব্যবসায়ীরা রওয়ানা হন। এসময় গাবতলী ব্রিজের কাছে সাভার পরিবহনের একটি বাসে উঠে। বাসটি ছেড়ে গেলে কিছুদুর পরই বাসে যাত্রী বেশে থাকা ১৩ থেকে ১৪ জন ডাকাত দল তাদের ৪ জনের হাত পা ও চোঁখে বেঁধে মারধর করতে থাকে। এসময় তাদের কাছে থাকা ১৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের চলন্ত বাস থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় ফেলে দেয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে চিকিৎসা নেন। পরে ১৩ জুলাই ভুক্তভোগী গরুর বেপারী সিদ্দিক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৩ থেকে ১৪ জন আসামী করে সাভার মডেল থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, সাভার পরিবহনের বাসে ডাকাতির ঘটনা ২০২২ সালের। কয়েকদিন আগে আমরা সেই বাসের চালক জসিমকে গ্রেপ্তার করি। এর আগে একই ঘটনায় নাছির নামে এক আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
আসামীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫ আসামীকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এমআই