আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ছোট হলেও উত্তর-পূর্ব ভারতের এই দুই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল দেশটির জাতীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। বিশেষ করে মেঘালয়ের নির্বাচনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
দুটি রাজ্যেই মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০। মেঘালয়ে সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী মমতা ব্যানাজির দল। মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সেখানে বাকি দলগুলোকে টেক্কা দিতে চায় তৃণমূল। তাই জাতীয় রাজনীতির নিরিখে মেঘালয়ের নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।
মেঘালয়ে কংগ্রেসের আশায় পানি ঢালতে পারে তৃণমূল
এই আবহে কংগ্রেসের কপাল পুড়তে পারে। যা নিয়ে কংগ্রেসের এমপি রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির মধ্যে কথার লড়াইও হয়েছে। কংগ্রেস ভাঙিয়েই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল।
মেঘালয়ে 'খ্রিস্টান-বিরোধী' তকমা মুছে ফেলে যথা সম্ভব আসন জেতাই এবারের নির্বাচনের লক্ষ্য বিজেপির। আবার মেঘালয়ে নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে কংগ্রেস। ২০১৮ সালের ভোটে একক বৃহত্তম দলের তকমা পাওয়ার চার বছরের মধ্যে ২১ বিধায়ককে হারিয়েছে কংগ্রেস শিবির।
এর আগে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোট হয়েছিল এনপিপির। তবে এবার আর জোট হয়নি দুই দলের। এককভাবে ৫৭টি আসনে লড়াই করছে এনপিপি। সব আসনেই লড়াই করছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। এদিকে ৫৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
১৯৭২ সাল থেকে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি মেঘালয়। তবে এবার সেই ধারা ভেঙে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত শাসক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (পিপিপি)। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্ধ হলেও শাসক দলের দাবি, এবার এককভাবেই ৩০ পেরিয়ে যাবে।
নাগাল্যান্ডের ভোটে ইস্যু কী কী
নাগাল্যান্ডে এবারের নির্বাচনেও বিশেষ নিরাপত্তা আইন আফস্পা প্রত্যাহার এবং নাগা-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের মতো বিষয়গুলো প্রভাব ফেলতে পারে। এর মাঝে পূর্ব নাগাল্যান্ডকে পৃথক রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি উঠেছে। এ নিয়ে নাগা রাজনৈতিক মহলে পানিঘোলা হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর