সময় জার্নাল ডেস্ক: মহাকালের হিসাবের নিক্তিতে ২৫ বছর খুব সুদীর্ঘ সময় না হলেও বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর ইতিহাস ঘাঁটলে। এই স্বল্প খরচে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা প্রদানে ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশে এইউবি তার নাম সমুজ্জ্বল করেছে।
এখান থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীবৃন্দ দক্ষতা ও সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে। এই সব কিছুর পিছনে কাজ করেছে দেশ বরণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড: আবুল হাসান মোহাম্মদ সাদেক স্যারের নিরলস প্রচেষ্টা ও দুর্দমনীয় কর্মস্পৃহা। বেশিরভাগ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা যেখানে ব্যবসায়ী সেখানে এই কিংবদন্তি শিক্ষাবিদ এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।
১৯৯৬ সালে সল্প পরিসরে এই প্রতিষ্টান যাত্রা শুরু করলেও সময়ের সাথে সাথে এর ব্যাপ্তি ও পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে সর্ব ক্ষেত্রে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ২০১৪ সাল থেকেই তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি আশুলিয়ার প্রায় দশ একর জায়গার উপর নির্মিত ছায়াসুনিবিড় নিজস্ব ক্যাম্পাসে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম শুরু করেছে যেখানে শিক্ষার্থীরা পাবলিক ইউনিভার্সিটির মতোই পরিবেশ ও সুযোগসুবিধা উপভোগ করছে। যা তাদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক বিকাশে সহায়তা করছে।
বই জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ লাইব্রেরীতে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত ও জ্ঞান চর্চার বিভিন্ন শাখার সর্বোচ্চসংখ্যক বই রয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে এক সেমেস্টার এর জন্য তাদের আবাসস্থলে নিয়ে পড়তে পারে। বইয়ের পাশাপাশি লাইব্রেরীতে অসংখ্য বিদেশী জার্নাল রয়েছে যার মাধ্যমে ছাত্র - ছাত্রীরা তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারে।
শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে শিক্ষা প্রদানের জন্য নিয়মিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ অতীব জরুরী। যুগোপযোগী ভাবে পাঠ্যক্রম উপস্থাপন, নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ 'রিসার্চ মেথোডোলজি' ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার নিমিত্তে প্রতিনিয়ত কর্মশালার আয়োজন করে যা কভিড ১৯ মহামারীর এই কঠিন সময়ে সহজেই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সফলভাবে অব্যাহত রাখতে সহায়তা করছে।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের প্রধান চিন্তা থাকে শিক্ষা ব্যয়। স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচনের মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে তাদের মৌলিক অধিকার প্রদানের মাধ্যমে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মানব সম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীগণ দেশে-বিদেশে সরকারী ও বেসরকারী কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতা, দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে এমনকি বিসিএস সহ অনান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করছে যা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উচ্চ মানের বহিঃপ্রকাশ।
দীর্ঘ দুইযুগের পথ পরিক্রমায় আজ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এক সুপ্রতিষ্ঠিত নাম। একটি বিশাল ক্যাম্পাস, হাজারো তরুণ-তরুণীর স্বপ্নবুনন আর স্বপ্নপূরনের ঠিকানা।
দরিদ্র মেধাবীদের সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ও ওয়েভার সুবিধা। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের তরে যুদ্ধ করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা এখানে সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া ভাইবোন ও স্বামী-স্ত্রীরা পাচ্ছে বিশেষ ছাড়। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
এইউবি স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রায় দশ একর জায়গার উপর নির্মিত। যা মনোরম পরিবেশ আর সু-নিবিড় ছায়াশীতল বিশ্বমানের ক্যাম্পাস। চমৎকার শিক্ষার পরিবেশ আর ডিজিটাল ক্যাম্পাস পেয়ে মুগ্ধ ছাত্রছাত্রীরা। সবুজে ভরপুর ক্যাম্পাসটি শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত।এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ফুটবল মাঠ, ক্রিকেট মাঠ, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন মাঠ। এছাড়াও ইনডোর গেমে টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবাসহ অন্যান্য খেলার সামগ্রী সংযোজিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই এবং ফ্রি যাতায়াত ব্যবস্থা।
একটি বিশাল ক্যাম্পাস, একদল প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, প্রিয় কিছু বন্ধুবান্ধব আর মেধাবী একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন যারা দেখেছেন তাদের জন্যই এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভর্তি মেলা সামার সেমিস্টার ২০২১ শুরু হয়েছে। ১ মে থেকে ৩০মে ২০২১ পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
মেলা উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের জন্য থাকছে বিশেষ উপহার সহ নানাবিধ সুযোগ। আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে ভর্তির ক্ষেত্রে বিবিএ,এমবিএ,সি এস ই,সি এস এবং ইংরেজিতে ভর্তিচ্ছুদের জন্য ২০% ছাড়সহ থাকবে অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ ছাড় ।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ : ০১৬৭৮৬৬৪৪১৭ - ১৯ ।
অনলাইনে ভর্তি হতে লগ ইন করুন admission.aub.edu.bd
সময় জার্নাল/এমআই