গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২ হাজার বাড়ি ঘর পুড়ে গেছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ১২ হাজার রোহিঙ্গা। বর্তমানে তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তবে আজ সকাল থেকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজার শেল্টার সম্পুর্ন ভস্মীভূত হয়। এতে ১২ হাজার রোহিঙ্গা ঘর বাড়ি হারায়। আজ সকাল থেকে তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ঘর তৈরি করবে।
জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। তিনি জানান অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হচ্ছে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের স্হায়ী শেল্টার করে দেয়া হবে। তবে অগ্নিকান্ডে নিখোঁজ কিংবা হতাহতের কোন ঘটনা নেই।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছে ক্যাম্পে হঠাৎ করে আগুন লাগার কারণে অনেকেই এক কাপড়েই ঘর ফেলে চলে আসে। ঘর বাড়ি হারিয়ে এখন অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছে।
শরনার্থী কমিশনার আরো জানান ক্যাম্পে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে এই কমিটিতে শরনার্থী কমিশন, এপিবিএন পুলিশ জেলা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি থাকবে। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারন অনুসন্ধান ছাড়াও কোন নাশকতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি।
আইওএম এর কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন আজ সোমবার সকাল থেকে আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী তাবু ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া ৫ টি মেডিকেল টিম রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। তিনি জানান অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করার কাজও চলছে।
উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা গতকাল রবিবার বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পের একটি বাড়ির রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয় হয়ে দ্রুত আগুন পার্শ্ববর্তী ৯ এবং ১০ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। তিন ঘন্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর