সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হলে ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটিকে সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছিলো হল কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়াকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন নম্বর ২১০৫/২০২৩ নির্দেশনার আলোকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এ কমিটি গঠন করেছেন। হল কর্তৃপক্ষ ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে হল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং কিভাবে ক্যামেরা সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন।
এদিকে আরেক অফিস আদেশের মাধ্যমে আইসিটি সেলের অধীনে পরিচালিত সিসি ক্যামেরাসমূহের পাসওয়ার্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের চাবি জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নিকট হস্তান্তর করার জন্য আইসিটি সেলের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, 'আমি আজকে চিঠিটা পেয়েছি। ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছি, এ বিষয়ের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। সাত কার্যদিবসের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিবো।'
ক্যামেরার পাসওয়ার্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের চাবি হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি প্রক্টরের সাথে কালকেই কথা বলেছিলাম। উনি বলেছেন যে, উনি নাকি এখনও চিঠিটা পাননি। তারপর আজকে কয়েকবার ওনাকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু উনি ফোন ধরেননি।'
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সংঘটিত ঘটনায় হলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তদন্ত কার্যক্রমে তদন্ত কমিটি সিসিটিভি ফুটেজ চাইলে ফুটেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় হল কর্তৃপক্ষ। হলের মোট ১২টি ক্যামেরা মনিটরগুলো সক্রিয় থাকলেও পাওয়া যায়নি ফুটেজ। এছাড়া ক্যামেরার বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট থাকায় ১৯৭০ সালের তারিখ প্রদর্শন করছিলো ক্যামেরাগুলো। পরে আইসিটি সেল ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও তা সম্ভব হয়নি।
এমআই