এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন বামনকান্দা নামক স্থানে সড়কের পাশে গাছের সাথে নুর ইসলাম ওরফে কুদ্দুছ(৩০) নামে এক শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্বার করেছে পুলিশ।
জানা যায় , নিহত নুর ইসলাম মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বিক্রমপুর বালাসর গ্রামের মনখুশি মিয়ার ছেলে। দীর্ঘ্যদিন যাবৎ সে উপজেলার বামনকান্দা রেলষ্টেশনের রেললাইন প্রকল্পে নির্মান শ্রমিক হিসেবে কাজে নিয়োজিত ছিল বলে তার সহকর্মী ও স্বজনেরা জানান। খবর পেয়ে বুধবার সকালে ভাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক তাহসিন ইসলাম জানান,খবর পেয়ে লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে। তবে নিহতের স্বজন ও তার সহকর্মী শ্রমিকরা জানান, ৫/৭ মাস যাবৎ রেললাইন প্রকল্পে কাজ করা সত্যেও প্রকল্পের ম্যানেজার তানভীর তাকে এবং অন্যান্য শ্রমিকদের মজুরি দিচ্ছিলনা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতন্ডা হয়। মঙ্গলবার রাতে মজুরি চাওয়ায় এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তানভীর ও তার সহযোগিরা প্রচন্ড নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার পর লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেন তারা। ঘটনার পর ম্যানেজার তানভীর পলাতক রয়েছে।
ঘটনায় কর্মরত শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। তারা অভিযোগ করে জানান ,শ্রমিকদের অন্তত ৫/৭ মাসের মজুরী বাকী। এতে শ্রমিকরা অর্থকষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছে। অধিকাংশ শ্রমিকই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, কর্তপক্ষের কাছে বাববার বলার পরে ও কোন সুরাহা হয়নি।
এ ঘটনায় দুপুরে ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ভুইয়া,ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
এমআই