মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উন্নয়নের তথ্য না দেওয়ায় তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে দৈনিক জনবাণী ও দৈনিক আলোচিত জামালপুর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদুর রহমান রাজধানীর আগারগাঁও তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়,উপমা ফারিসা সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই সাংবাদিকরা তথ্য অধিকার আইনে ইউএনও কার্যালয়ে আবেদন দিলেও আবেদন দিয়েও ফাইলবন্দি পড়ে আছে। তথ্য অধিকার আইনানুযায়ী নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলেও বিভিন্ন প্রকল্প হরিলুটের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই কোনো তথ্য প্রদান করা হয় না। কেউ তথ্যের জন্য আবেদন করলে সে খবর পৌঁছে যায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতার কানে, এতে হয়রানির শিকার হন খোদ গণমাধ্যমকর্মীরা।
২০১৮-১৯ থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত ১ম ও ২য় পর্যায়ের স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে বিশেষ এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে সাধারণ বরাদ্দের টিআর, কাবিটা, কাবিখা, জিআর তালিকা ও প্রকল্প কমিটির তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইন (আইনের বিধি ৩-এর ফরম 'ক') অনুযায়ী গত বছরের ৯ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বরাবর আবেদন করেন।
আবেদন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) হুমায়ুন কবির তাকে তথ্য না দিয়ে নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তথ্য না পাওয়ায় আইনের ধারা ৮-এর উপধারা (১), (২), (৩) অনুযায়ী সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি আপিল (আইনের বিধি ৬-এর ফরম 'গ') আবেদন করেন। ১৯ ফেব্রুয়ারী আপীল শুনানীতে মাসুদুর রহমানসহ তার আইনজীবীরা উপস্থিত থাকলেও পিআইও এবং ইউএনও উপস্থিত ছিলেন না।
পরবর্তীতে চাহিত তথ্য প্রদানে কি রুপ ফটোকপির খরচ হবে তা ৫ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে অবহিত করতে হবে। আবেদন কারী তথ্য গ্রহণে ফটোকপির অর্থ নির্দিষ্ট সরকারী কোডে চালান প্রদান জমাদান করে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে থেকে তথ্য গ্রহণ করবে। কবে তথ্য প্রদান করা হবে তা পত্র মারফত মাসুদুর রহমানকে জানানোর আদেশ দেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়। তার আদেশের পরেও কোন পত্র প্রদান করেননি ইউএনও বা পিআইও।
এদিকে তথ্য না দেওয়ার বিষয়ে সরিষাবাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসার বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে দৈনিক আলোচিত জামালপুর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও দৈনিক জনবাণী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাসুদুর রহমান বলেন, আবেদন দিয়েও তথ্য পায়নি। ডিসি স্যার আদেশ দেওয়ার পরেও কোন পত্র মারফত আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। তাই তথ্য প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি।
তবে কথা হলে তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি বলেন, অভিযোগ হাতে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর