দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মোল্যার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পর ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত বুধবার (১৫ মার্চ) ক্লাস চলাকালীন দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।
ওই ছাত্রী বিষয়টি তাৎক্ষণিক মৌখিকভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানায়। ওই ছাত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক মিজানুর রহমানকে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘আমরা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য স্কুলে পাঠিয়ে নিরাপদ মনে করি। কিন্তু শিক্ষক মিজানুর রহমানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে হতবাক ও লজ্জিত। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আলী চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রী ও অভিভাবকের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক কমিটি যৌথ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমআই