রাবি প্রতিনিধি: টাকার জন্যই এডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। শিক্ষামন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য উপাচার্য এ ধরনের কাজ-কর্ম করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা।
রোববার দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স এর সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ৬ তারিখ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, ‘আগামী ৬ মে রাবি উপাচার্যের কার্যকাল শেষ হতে যাচ্ছে। মেয়াদের শেষে এসে বর্তমান প্রশাসন বরাবরের মতোই চরম অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। চাকরি প্রত্যাশী এবং স্বার্থান্বেষী মহলের চাপের মুখে ও দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগণ অনিয়ম ও দুর্নীতি করে শেষ সময়ে অবৈধ আর্থিক সুবিধা হাতিয়ে নিতে সর্বক্ষণ ব্যস্ত রয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সব ধরনের নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান প্রশাসন নিয়োগ-বাণিজ্যের জন্য এডহকভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে করোনাকালীন সম্পূর্ণ বন্ধ ক্যাম্পাসে উপাচার্য কর্তৃক তড়িঘড়ি করে এসব আইনবহির্ভূত টেন্ডার নির্মাণ, মেরামতী ও রংকরণ কাজ, এডহক নিয়োগ ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করছে।’
অধ্যাপক টিপু বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও গৌরবের বিরুদ্ধে এটি এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা বিশ্বাস করি। এদিকে মেয়াদের শেষ সময়ের সকল অবৈধ কাজ ও দুর্নীতিকে উপাচার্য অত্যন্ত চাতুরতার সাথে দাপ্তরিকভাবে বৈধ করতে আজ ২রা মে ফাইন্যান্স কমিটি এবং ৪ মে সিন্ডিকেট সভা ডেকেছেন। উপাচার্য এ সভার মাধ্যমে অনেক সংখ্যক এডহক নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে আমরা জেনেছি।
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/আরইউ