জেলা প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট বাণিজ্যের পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করলেন ভূক্তভোগী ও হাসপাতাল প্রশাসন।
রোববার (২ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মূখে পড়েন হাসপাতাল প্রশাসন। হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এ প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্যে হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিক বলেন, গত শনিবার (৩০ মার্চ) তিনি সহ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ফারুক আহমেদ, ডা: শ্যামল চন্দ্র বাড়ৈ, ডাঃ হিটলার বিশ্বাসসহ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার এবং কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্ণীতি ও সার্টিফিকেট বানিজ্যের প্রতিবাদে ভূক্তভোগীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে হাসপাতাল প্রশাসন সংবাদ সম্মেলন ডাকে। সেখানে অভিযুক্ত ডাক্তার ও কর্মচারীদের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে সাংবাদিকদের তোপের মূখে পড়েন সংবাদ সম্মেলন ডাকা চিকিৎসকেরা। এ সময় সভায় উপস্থিত থাকা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক ওই সব চিকিৎসক ও কর্মচারীদের নামে অভিযোগের পাহাড় তুলে ধরেন।
এর এক পর্যায়ে সহকারি পরিচালক ডা: অসিত কুমার মল্লিক বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ফারুককে এই হাসপাতাল থেকে অপসারণসহ এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সহকারি পরিচালক ডা: অসিত কুমার মল্লিক আরো বলেন, মানববন্ধনকারীরা যে অভিযোগ করেছে, একটি দালাল চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ ভুয়া চিকিৎসা সনদ দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি করছে। এ কাজে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হচ্ছে।
ভূক্তভোগীরা ৩০ মার্চ মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের পয়:প্রণালী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সহ অন্যান্য কাজ না করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হলেও তা আদৌ চালু হয়নি। যে সকল মেশিনপত্র রয়েছে তাও অকেজো। সাধারন মানুষ বাধ্য হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, খুলনা, বরিশাল যেতে বাধ্য হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ওষুধ সঠিকভাবে জনগন পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
এ সংবাদ সম্মেলনে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা: মনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ ডা: মো. জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ, বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ডা: হুমায়ুন কবির প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই