স্পোর্টস ডেস্ক:
লাল-সবুজ জার্সিতে বাংলাদেশ যতটা উজ্জ্বল, সাদা পোশাকে ঠিক ততটাই বিবর্ণ। তবে সব কিছুকে পেছনে ফেলে আবারও লাল বলের ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে বাংলাদেশ। মিরপুরে এক মাত্র টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানের অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ১৫৫ রানের লিড পেয়েছে সাকিব-তামিমরা।
মিরপুরে একমাত্র টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান। যেখানে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হাসান শান্ত ও ৩৬ বলে ২১ রান করেন তামিম।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই মমিনুলের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় ওভারেই ১৭ রান করা মমিনুলকে বোল্ড করেন পেসার মার্ক অ্যাডায়ার। ৩৪ বল খেলে ৪ চারে ১৭ রান তুলে ফেরেন মমিনুল। পরে দলকে চাপমুক্ত করতে উইকেটে এসেই আইরিশ বোলারদের উপর চড়াও হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মুশফিকের সঙ্গে জুটির শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন সাকিব। এতে ৫৪ বলেই জুটিতে ৫০ রান উঠে যায়। মারমুখী ব্যাটিং অব্যাহত রেখে ৪৫ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম অর্ধশতক দেখা পান সাকিব।
১০৯ বলে ১০০ পূর্ণ করেন মুশফিক-সাকিব জুটি। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত জুটিতে ১০০ করলেন মুশফিক ও সাকিব। জুটিতে সর্বোচ্চ পাঁচবার সেঞ্চুরি করেছেন হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর বেলিম। সাকিব-মুশফিক ৬৫তম ইনিংসে ও হাবিবুল-জাভেদ ৩২ ইনিংসে পাঁচবার সেঞ্চুরি জুটি গড়েন। অপরদিকে দ্রুত রান তুলতে না পারলেও, সাকিবকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে ৬৯ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৬তম অর্ধশতক তুলে নেন মুশফিক। এরপর সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও আউট হন সাকিব। দলীয় ১৯৯ রানে ৯৪ বলে ৮৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব।
এর পর উইকেটে এসে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মুশফিক। দেখেশুনে খেলে ১৩৫ বলে সাদা পোশাকে নিজের ১০ম শতক তুলে নেনে মুশফিক। দলীয় ২৮৬ রানে ৪১ বলে ৪৩ রান করে আউট হন লিটন। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শতকের পর ক্রিজে আসা মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। তবে দলীয় ৩৩১ রানে আউট হন মুশফিক। ১৬৬ বলে ১২৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
এমআই