স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন ৩৬৯ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন বিকেলের সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশ ব্যাটাররা। ২৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ফলে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১২৮ রানে পিছিয়ে ছিলো আইরিশরা। তবে তৃতীয় দিনে লরকান টাকার শতকে ঘুরে দাড়িয়ে ৮ উইকেটে ২৮৬ রান করে আইরিশরা। ফলে এখন পর্যন্ত টাইগারদের জন্য ১৩১ রানের লিড নিয়েছে অ্যান্ড্রু বালবির্নির দল।
আজ সকালে শুরুর দিকে বেশ সাবধানী ব্যাটিং করেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার হ্যারি টেক্টর এবং পিটার মুর। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে উইকেট আকড়ে পড়ে থাকলেও শরিফুল ইসলাম বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পিটার মুরকে হারিয়ে আইরিশদের বড় একটা ধাক্কা দেয়। ১৬ রানে মুরকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচ বানান শরিফুল।
৫১ রানের মাথাতেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা আরও বাড়ে আইরিশদের। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান হ্যারি টেক্টর ও লরকান টাকার। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানের জুটি গড়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায়।
লাঞ্চ বিরতির পর বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। দলীয় ১২৩ রানে ১৫৯ বলে ৫৬ রানের ধর্যশীল এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান হ্যারি টেকটর। এরপর ক্রিজে আসেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।
অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করে ফলোঅন এড়িয়ে আয়ারল্যান্ডকে লিড এনে দেন লরকান টাকার। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে চা পান বিরতিতে যায় আয়ারল্যান্ড। বিরতিতে থেকে ফিরে সেঞ্চুরি তুলে নেন টাকার।
সেঞ্চুরির পর দলীয় ২৩৪ রানে আউট হন টাকার। ১৬২ বলে ১০৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান টাকার। তাকে সাজঘরে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন। এরপর ক্রিজে আসা মার্ক অ্যাডায়ারকে সঙ্গে নিয়ে রানের খাতা সচল রাখেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।
তবে দলীয় ২৬৫ রানে মার্ক অ্যাডায়ারকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। ৪৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন মার্ক অ্যাডায়ার। এরপর ক্রিজে আসা গ্রাহাম হিউমকে সঙ্গে নিয়ে দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড। ফলে এখন পর্যন্ত টাইগারদের জন্য ১৩১ রানের লিড নিয়েছে অ্যান্ড্রু বালবির্নির দল।
এমআই