মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের বকশিগঞ্জে জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার ও তার সহযোগীদের হামলায় আহত হয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম রনি।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম রনি জানান- “সম্প্রতি উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক ছোট একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় একজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলে।
পরে সেই বিষয়টি নিয়ে আমি ভোরের কাগজে সংবাদ করি। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান ও তার সমর্র্থকদের সাথে আমার মনোমিলন্য চলে আসছিলো। জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার চেয়ারম্যান সিদ্দিকের সমর্থক এবং ঘনিষ্ঠজন।
সাংবাদিক রনি আরো বলেন- রোববার দুপুরে আমি উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থানের সময় জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। তার ডাকে আমি উপজেলা পরিষদের সামনে গেলে শিলা সরোয়ার, তার গাড়ির ড্রাইভার ও বডিগার্ড আমাকে মারধর শুরু করে। এরপর তারা আমাকে অপহরনের চেষ্টা করে এবং আমার মোবাইল ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে যায়। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে।”
সাংবাদিক রনি বলেন-“ঘটনার পরপরই আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। এখনো চিকিৎসাধীন আছি। চিকিৎসাধীন থাকায় এখনই মামলা করতে পারছি না। তবে আমি খুব দ্রæত আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবো। আমি আমার উপর হামলাকারীদের বিচার চাই। ”
এসব বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- “সাংবাদিক রনিকে মারধর করা হয় নাই। রনি আমার একটি গান বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়েছে। একটা পিকনিকে আমি গান গেয়েছিলাম। সেই গানটি বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়েছে সাংবাদিক রনি”
এরপরই তিনি কথা বলার জন্য বকশিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের কাছে দেন।
মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর জানান-“আমাদের একটি পিকনিকে গান গেয়েছিলো শিলা সরোয়ার আর সেই গানে কিছুটা নেচেছিলো চেয়ারম্যান সিদ্দিক। সেই গানটি বিকৃত করে রোববার সকালে ফেসবুকে ছাড়ে সাংবাদিক রনি। এরপর শিলা সরোয়ার সাংবাদিক রনি উপজেলায় দেখতে পেয়ে আমার কাছে আনার জন্য টানা হেচরা করে। এসময় তার ড্রাইভার ও বডিগার্ডও টানা হেচরা করে। এতে সাংবাদিক রনির হাত ও পায়ের কিছু জায়গা ছিলে যায়। এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।”
এসব বিষযে বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন-“আমরা এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। শুধু মাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”
সময় জার্নাল/এলআর