নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী সাত দিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সে হিসেবে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এ সপ্তাহ। এদিকে আজ রোববার (০৯ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের মধ্যে রেকর্ড।
পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় যেমন আজ তাপমাত্রা সর্বোচ্চ, তেমনি রাজধানীতেও সাম্প্রতিক সময়ের চেয়ে আজ তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি। গরমে গত কয়েকদিন ধরেই নাভিশ্বাস অবস্থা মানুষের। একদিকে রোজায় শরীর শুষ্ক, অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটা ও রাজপথের জ্যাম মিলে বাতাসের উত্তাপ যেন আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কষ্টকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আগামী ৭/৮ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই জানিয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ফলে এই গরম অব্যাহত থাকতে পারে আগামী সাত দিন। এছাড়া ঋতু পরিবর্তনের এই সময় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি বিশেষ করে সিলেটের দিকে কিছুটা হলেও কমবে না তাপমাত্রা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় গতকাল ছিল ৩৭ দশমিক ৪, যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ছিল ৩৮, আজ তা আরও কিছুটা বেড়ে ৩৮ দশমিক ১; রংপুরে ছিল ৩৪ দশমিক ৩, আজ তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৯; ময়মমসিংহে ছিল ৩৪ দশমিক ৫, আজ ৩৪ দশমিক ৭; সিলেটে ছিল ৩৫, আজও তা ৩৫ ডিগ্রিই আছে; চট্টগ্রামে ছিল ৩৫, আজ তা বেড়ে ৩৬ দশমিক ২; খুলনায় ছিল ৩৬ দশমিক ৫, আজ তা ৩৭ এবং বরিশালে ছিল ৩৬ দশমিক ৮, আজ তা কিছুটা কমে ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে।
এদিকে এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে দেশে দুই থেকে তিনটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এমআই