স্পোর্টস ডেস্ক:
ইউরোপের সফলতম দল হিসেবে আবারও নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। স্টামফোর্ড ব্রিজে স্বাগতিক চেলসির আক্রমণের ঝাপটা সামলে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পা রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
চেলসির ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। দলের হয়ে দুইটি গোলই করেছেন রদ্রিগো। দাপুটে জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এক পা দিয়ে রাখল বেনজেমা-ভিনিসিয়াসরা। আগামী ১১ মে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের লড়াইয়ে ম্যানসিটি অথবা বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে দুই বা তার বেশি গোলে এগিয়ে থেকে ১৯ বারের ১৮টিতেই পরের পর্বে পা রাখার সুখস্মৃতি ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। এমন ইতিবাচক সমীকরণ নিয়েই স্টামফোর্ড ব্রিজে খেলতে নেমেছিল দলটি। তবে শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ঘরের মাঠে আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করে শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখেছিল অল ব্লুজরা। যার ধারাবাহিকতায় ম্যাচের দশ মিনিটেই সেরা সুযোগটা পেয়ে যায় তারা৷
দশম মিনিটে এনগুলু কান্তেকে লক্ষ্য করে বল পাঠান হাভার্টেজ। বলটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন কান্তে। তবে মাত্র ১২ গজ দূরে থেকেও রিয়াল গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন এই ফরাসি মিডফিল্ডার। একা পেয়েও বল পাঠান অনেকটা বাহিরে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে চেলসি আরও একটা ভালো সুযোগ পায়। তবে এই সুযোগ থেকেও গোল আদায় করতে পারেনি ব্লুজরা। মাত্র ছয় গজ দূরে থেকেও মাদ্রিদের গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেনি কুকুরেলা। আর এতেই গোলশূন্য সমতা নিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতির পর ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে চেলসির গোলবারে আক্রমণ বাড়ায় সফরকারীরা। যার ধারাবাহিকতায় ৫৮ মিনিটে মেলে সফলতা। পাল্টা আক্রমণের বল নিয়ে ব্লুজ রক্ষণভাগ অতিক্রম করে ভিনিয়াসকে পাস দেন রদ্রিগো। ফিরতি পাসে বল জালে পাঠান তিনি নিজেই। পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে গতি বাড়াতে জোয়াও ফেলিক্স, রাহিম স্টার্লিংদের মাঠে নামান চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড।
তবে এতেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো ৮০তম মিনিটে আরেকটি পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের বাকি সময় আর কেউ গোলের দেখা না পাওয়ায় ২-০ গোলের দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত হয় লস ব্লাঙ্কোসদের।
এমআই